যে কারণে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে আসছে শহরের মানুষদের
মানসিক চাপ, ধূমপান, পরিশ্রম না করা এবং বায়ুদূষণের কারণে পুরুষদের উর্বরতা এবং যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে আসছে বলে ভারতের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়। বিশেষ করে দিল্লির পুরুষদের এই অবস্থা অনেক বেশি।
সেখানে বলা হয়, দিল্লির ১৫ শতাংশ পুরুষের শুক্রাণু অনুর্বর হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ৩০ শতাংশ পুরুষের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে আসছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, এলোমেলো জীবনযাপনের কারণে শহরের পুরুষদের অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়েছে।
আইভিএফ হসপিটালের বিশেষজ্ঞ সাগরিকা আগারওয়াল জানান, দিল্লিতে ১৫ শতাংশ পুরুষ উর্বরতা হারিয়েছেন। এই সংখ্যা নারীদের চেয়ে অনেক বেশি। তাদের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের আগুনে ঘি ঢেলেছে বায়ুদূষণ। ক্রমশ বদলে যাচ্ছে জীবনযাপন। ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশ আরেকটি ক্ষতিকর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরুষের অনুর্বরতাসহ নারীদের গর্ভপাতের ঘটনা বাড়ছে। ৩০ শতাংশ মানুষের যৌন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উর্বরতা হ্রাস বলতে পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। নারীর ফ্যালোপেন টিউবে পৌঁছতে পারে না শুক্রাণু। ফলে অসংখ্যবার চেষ্টার পরও গর্ভধারণ সম্ভব হচ্ছে না। আবার অনুর্বরতার কারণে যৌন আকাঙ্ক্ষাও কমে আসছে।
আইভিএফ এর আরেক বিশেষজ্ঞ শুভদীপ জানান, বায়ু ভারী ধাতু রয়েছে। এগুলো দেহের হরমোনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। টেসটোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে আসার কারণে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে আসছে। বায়ুতে ওজোন, সালফার এবং অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান বৃদ্ধির কারণে তা দেহে রক্তের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। আবার বয়সও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বয়সের সঙ্গে অনুর্বরতা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার স্বাস্থ্যকর শুক্রাণু সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। তাই বেশি বেশি টমেটো, মিষ্টি আলু, তরমুজ, গাজর, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, মাছ, আখরোট, ডালিম ইত্যাদি খেতে হবে। এ পরামর্শ দেন রাম মনোহর লোহিয়া হসপিটালের গাইনেকোলজিস্ট রঞ্জু দেব। তিনি আরো বলেন, নিয়মিত মাল্টিভিটামিন খেলেও অবস্থার উন্নতি ঘটতে পারে। ডার্ক চকোলেট অ্যামাইনো অ্যাসিড এল-আরজিনির অন্যতম উৎস। এটি শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
এ ছাড়াও পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার মাধ্যমেও শুক্রাণুর পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধি করা যায়। বিষয়টি যখন উর্বরতা, তখন স্বাস্থ্যকর ওজন ধরে রাখা জরুরি। স্থূলতার কারণেও উর্বরতা নষ্ট হয় পুরুষের।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য চালু নেই