প্রেমিককে বেঁধে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ
মেলায় এসে বান্দরবান পৌর শহরের এলাকায় এক মারমা কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শহরের ভেতরে শিশু পার্কের জন্য নির্ধারিত স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার ভিকটিমকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ভিকটিম ও তার প্রেমিক ওই চার দুর্বৃত্তকে না চেনলেও একজনের নাম কাজল ও অন্যজনের নাম জুয়েল বলে জানিয়েছে নির্যাতিতা। অন্য দুইজনের নাম জানাতে পারেনি সে।
ভিকটিমের প্রেমিকের ভাষ্য, শুক্রবার রাতে তারা বান্দরবানের ঐতিহ্যবাহী খাজনা আদায় অনুষ্ঠান রাজপূণ্যাহ মেলায় আসেন। রাত ১১টার দিকে হাঁটতে হাঁটতে রোয়াংছড়ি বাসস্টেশন এলাকার কাছাকাছি পৌঁছায়।
এ সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য প্রেমিকাকে রেখে নির্জন জায়গায় যায়। ফিরে এসে দেখে চারজন যুবক তার প্রেমিকাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। প্রতিবাদ জানালে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। তাদের একজন নিজেকে যুবলীগের নেতা জুয়েল নাম পরিচয় দিয়ে তাদের কিছুই করতে পারবে না বলে ভয় দেখায়।
ওই চার যুবককে চেনে না তারা। নিজেদের মধ্যে কথাবলার সময় একজন অন্যজনকে কাজল নামে ডাকছিল। এক পর্যায়ে ওই চার যুবক তার প্রেমিকাকে কুপ্রস্তাব দেয়।
এতে রাজি না হওয়ায় জোর করে দুই যুবক তার প্রেমিকাকে শিশু পার্কের জন্য নির্ধারিত জায়গাতে তুলে নিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকেও অন্য দুই যুবক বেঁধে ফেলে। এরপর তার প্রেমিকার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় চার যুবক।
ঘটনার ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। তার বাড়ি রুমা উপজেলার থানা পাড়া এলাকায়। শুক্রবার রাতের ঘটনায় ওই চার যুবক তাকে তিনটি প্রস্তাব দেয়, প্রথমে তার বাড়ির বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে আসার জন্য বলে, এরপর পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার ভয় দেখায়, এরপর তারা তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। ভিকটিম পুলিশের হাতে তুলে দিতে রাজি হলেও ওই চার দুর্বৃত্ত বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
তারপর মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই চার যুবক তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। চিৎকার করলে মুখ ও গলা চেপে ধরে।
এ ঘটনায় এখনো নিকটবর্তী থানায় মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে ভিকটিমের মামাতো বোন থুইঞাইনু মারমা।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) প্রবীর কুমার জানান, শনিবার ভিকটিমকে ভর্তি করা হয়েছে। ভিকটিমের মুখ থেকে গণধর্ষণের লোমহর্ষক ঘটনা শুনেছি। ভিকটিমকে পরীক্ষা করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই