নারীদের জন্য পৃথক মার্কেট করব : আইভী
নারায়ণগঞ্জবাসীকে জয় উৎসর্গ করেছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইভী বলেন, পরপর তৃতীয়বারের মতো জয়ী হতে পেরে তিনি আনন্দিত। তবে বিজয়ের মাসে এই জয় তাঁর কাছে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
আইভী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জবাসীকে জয় উৎসর্গ করলাম। বিজয়ের মাসে অর্জিত এই জয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, সকল মুক্তিযোদ্ধাকে উৎসর্গ করলাম।’
প্রতিবেদকের সঙ্গে আইভী কথা বলেন তাঁর নিজের ঘরে বসে। ঘরের দেয়ালে টাঙানো বাবা আলী আহাম্মদ চুনকার ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, বাবার দেখানো পথে তিনি বরাবর চলেছেন। বাবাই তাঁকে শিখিয়েছেন কীভাবে মানুষকে ভালোবাসতে হয়। অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার যে অঙ্গীকার তিনি করেছিলেন, নারায়ণগঞ্জবাসীকে নিয়ে সেই কাজ তিনি শেষ করতে চান।
পরপর চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর হারার পর এই জয় কোনো বিশেষ অর্থ বহন করে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। তিনি নৌকা প্রতীক আমার হাতে তুলে দিয়ে আমাকে সম্মানিত করেছেন। আমি বিজয়ের নৌকা নেত্রীকে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি এটাই বড় সন্তুষ্টি।’
প্রথমেই কী করবেন এমন প্রশ্নে আইভী বলেন, ‘অসমাপ্ত কাজগুলো সারতে হবে। আমাদের নদীর ওপর একটা সেতু করা প্রয়োজন। এটা নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি। এ ছাড়া ময়লা ফেলার কোনো জায়গা নেই। ডাম্পিং স্টেশন করা খুব দরকার। সিদ্ধিরগঞ্জের নয়টা ওয়ার্ডের একটা পিছিয়ে আছে। জাইকার সঙ্গে কথা হয়েছিল। হলি আর্টিজানে হামলার কারণে ওরা একটু ভেঙে পড়েছে। যেভাবেই হোক এই জায়গাটায় নজর দিতে চাই। বন্দরের উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আশা করি আপনাদের চোখে পড়েছে।’
নির্বাচনের আগে ও প্রচার চলার সময় তৃতীয় পক্ষের কারণে উদ্বেগের কথা বলেছিলেন, নির্বাচনের পর কি মনে হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থেকে অনেকে আমার সম্পর্কে অনেক কিছু বলেছেন। আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি। শেখ হাসিনাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসি। আমি জিতব সেটা আমি জানতাম। কারণ, আমি মিথ্যা বলি না। আমি যে মানুষকে ভালোবাসি এটা মানুষ জানে। এটাই আমার শক্তি।’
নারীদের জন্য তিনি পৃথক মার্কেট করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই মার্কেটে নারীরা যেন তাঁদের উৎপাদিত পণ্য নিজেরা বিক্রির সুযোগ পান, সেই চেষ্টা করবেন বলে জানান।
সাক্ষাৎকারের শেষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তৃণমূলের সব নেতা-কর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সেলিনা হায়াৎ আইভী। সে সঙ্গে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, খেলাঘরসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ধর্মবর্ণগোত্র-নির্বিশেষে সবাইকে সমান সুযোগ করে দেওয়ার যে নীতি তিনি অনুসরণ করেছেন, তা অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান সেলিনা হায়াৎ আইভী।- প্রথম আলো
মন্তব্য চালু নেই