নতুন মেয়র বেছে নিতে প্রস্তুত নারায়ণগঞ্জবাসী
নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচনে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। শেষটা ভালো করার জন্য ভোটার আর প্রার্থীদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে ইসি। ভোট উৎসব কোনোভাবে পণ্ড না করতে কাউন্সিলর প্রার্থীদের কমিশন সতর্কও করেছে।
২২ ডিসেম্বর সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে মাঠে আছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য।
আনুষ্ঠানিক সব প্রচারণা থেমে গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এখন অপেক্ষা ভোট শুরুর। আগেরদিন বেলা ১১টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বক্সসহ নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো শুরু হয়। ১৭৪টি কেন্দ্রে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না জানিয়ে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নারায়ণগঞ্জবাসীকে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে নির্বাচনকে গণতন্ত্রের মহাউৎসবে পরিণত করার অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আমরা নির্বাচনের সমস্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। কিছু এলাকায় আমরা বাড়তি নিরাপত্তা নিয়েছি। ভোটকেন্দ্রের কোথাও যদি ভায়োলেন্স ঘটে তাহলে আইনের প্রয়োগও সেই পরিমাণেই ঘটবে।
ভোটের দিন যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসি। কেউ যাতে সামান্য বিতর্কও তুলতে না পারে সেজন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছে। বিশেষ করে পক্ষপাতহীন দায়িত্ব পালনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে। চার লাখ ৭৪ জন ভোটারের নিরাপত্তা দিতে নিয়োজিত আছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দশ হাজার সদস্য।
নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে মোট প্রার্থী ২০১ জন, এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপির অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ৭ জন মেয়র প্রার্থী। নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন চার হাজার ৮৫জন কর্মকর্তা।
মন্তব্য চালু নেই