কাজে টিকে থাকার লড়াইয়ে জিতলেন ১০২ বছরের বৃদ্ধ!
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার এডিথ কাওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দশক ধরে গবেষণার কাজ করার পর গত অগাস্টে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১০২ বছর বয়স্ক বিজ্ঞানী ডেভিড গুডালকে জানিয়ে দেয় তিনি আর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে কোনো কাজ করতে পারবেন না। খবর বিবিসি বাংলার।
তাকে কাজ করতে হবে বাসায় বসে। কারণ সহকর্মীরা কর্মস্থলে তার নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছিল যে বয়সের কারণে তার জন্য অফিস থেকে কাজ করা ঝুঁকিপূর্ণ এবং সে জন্য গবেষণার কোনো কাজ করতে চাইলে তা তাকে বাসায় বসেই করতে হবে।
ডঃ গুডাল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহযোগী হিসাবে কাজ করেন – তবে বিনা বেতনে। এটা একটা সাম্মানিক পদ। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বয়স্ক বিজ্ঞানী এবং ৭০ বছরের বিজ্ঞানী জীবনে পরিবেশ বিষয়ে তিনি শতাধিক গবেষণাপত্র লিখেছেন।
ডঃ গুডাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত মোটেই মানতে রাজি হননি। এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন গত কয়েক মাস এবং কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত তার যুক্তি মেনে নিয়ে এখন বিশ্ববিদ্যালয়েরই অন্য একটি ক্যাম্পাসে তাকে কাজ করার জায়গা করে দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চান্সেলার বিবিসিকে বলেছেন, ডঃ গুডালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর উপযুক্ত একটি অফিস দিতে পেরে আমরাও সন্তুষ্ট।
ডঃ গুডালও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, “আশা করি আমি আরও অনেকদিন আমার কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারব। তবে সবকিছুই নির্ভর করবে আমার দৃষ্টিশক্তি কতটা ভাল থাকে তার ওপর। বিষয়টা নিরাপত্তার নয়, ওরা অহেতুক আমার নিরাপত্তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করছিল।”
ডঃ গুডাল শখে নাটকও করতেন। কিন্তু সম্প্রতি গাড়ি চালিয়ে তিনি মহড়ায় যেতে অপারগ হয়ে পড়ায় নাটকে অংশ নেওয়াও তাকে ছাড়তে হয়েছে। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজও তিনি ছাড়তে মোটেই রাজি ছিলেন না।
মন্তব্য চালু নেই