আ’লীগ নেতাকর্মীদের বাঁধায় রাবিতে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ

রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইআর) শুরু হওয়া নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা বন্ধ করে দেয় তারা।

জানা যায়, বুধবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের আয়া ও মালি নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চলছিলো। এসময় নগরীর মতিহার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে ২০/২৫ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীর পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আনসার উদ্দিনকে পরীক্ষা বন্ধ করে দিতে বলে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির আশঙ্কায় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেন এবং অফিস কক্ষের সামনে অনিবার্য কারণ বশত পরীক্ষা বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেন।

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আনসার উদ্দীন পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মতিহার থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করতে বলেন। তাদের সঙ্গে তো আমরা ঝগড়া করতে পারি না। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা কোন ভূমিকা পালন করেনি। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির আশঙ্কায় আমরা পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছি।’

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘এই নিয়োগ পরীক্ষায় আয়ার যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে মেট্রিক পাস। আয়া পানি, চা আনা-নেওয়া করবে তার এতো যোগ্যতা লাগবে কেন? আবার কম্পিউটার চালানোর যোগ্যতার কথাও বলা হয়েছে। এ যোগ্যতা চাইলে তো আমাদের সংগঠনের কেউ চাকরি পাবে না। যাই হোক আমাদের কিছু লোকজন গিয়ে এ নিয়ম তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। তাদের এ দাবির মুখে আজকে সকালে যে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিলো তা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে আমি গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এসেছি, যেনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘ইনস্টিটিউট তার নিজস্ব প্রক্রিয়াতে নিয়োগের বিষয়টি দেখে। সেখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও ক্যাম্পাসের বাইরে আছেন। এখন আইইআর লিখিতভাবে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানালে আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবো। ’

নিরাপত্তায় অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মাহবুব আলম বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলাম। আমরা তো আর পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে পারি না। আর বাইরে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’



মন্তব্য চালু নেই