৬৬ বছর ধরে চুরি করছেন, তবু লজ্জিত নন

চুরি বিদ্যা শুরু করেছিলেন ২০ বছর বয়সে। এরপর কেটে গেছে সাড়ে ছয় দশকেরও বেশি সময়। কিন্তু, ডরিস পেন একটুও বিচ্যুত হননি তার এই নেশা কিংবা পেশা থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনি রীতিমতো সেলিব্রিটি। তিনি অত্যন্ত চতুর রত্নচোর। তার চুরির কথা স্বীকার করে অপরাধ জগতের বড় বড় হোতা থেকে প্রভাবশালী গণমাধ্যমও।

২০১৩ সালে ডরিসকে নিয়ে তোলা হয় একটি তথ্যচিত্রও। ‘দ্য লাইফ অ্যান্ড ক্রাইমস অফ ডরিস পেন’ নামের সেই ছবি যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছিল সমালোচক-দর্শকদের। বার বার গয়না বা রত্ন চুরির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

১৯৫২ সালে প্রথম তাকে নিয়ে হইচই শুরু হয়। সাক্ষাৎকারে ডরিস কিন্তু বেজায় সাবলীল। তথ্যচিত্রেই তিনি জানিয়েছেন, কোনো দিনই তিনি ‘চুরি করতে’বের হননি। কিন্তু কোথা থেকে কী যে হয়ে যায়!

১৯৭০-এর দশকে বাণিজ্য সংস্থা জুয়েলার্স সিকিউরিটি অ্যালায়েন্স ডরিসের বিষয়ে বিশেষ বুলেটিন বের করে। তঁকে ঘিরে তৈরি হতে থাকে নাগরিক কিংবদন্তি।

সম্প্রতি ভন মাউর-এর এক বিপণিতে শপ লিফ্টিংয়ের অভিযোগে ধরা পড়লেন ৮৬ বছরের ডরিস। সারা জীবন গন্ডার মেরেছেন, ভাণ্ডার লুঠেছেন। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে এক সামান্য ছিঁচকে শব লিফ্টিং! নিজের কাজের জন্য সারা জীবন লজ্জাহীন থাকা ডরিস কি এই মুহূর্তে লজ্জা পাচ্ছেন? তার উত্তর ‘না’। এবেলা অবলম্বনে।



মন্তব্য চালু নেই