বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের রেকর্ড গড়লেন বেটস
প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ওয়ানডে ও টুয়েন্টি টুয়েন্টি দু’ফরম্যাটেরই বর্ষসেরা খেলোয়াড় হলেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক সুজি বেটস। এর আগে কোন নারী খেলোয়াড় এমন রেকর্ডের জন্ম দিতে পারেননি।
২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্ব মঞ্চে পারফরমেন্সের বিচারে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। এ সময়ে ৭ ওয়ানডে ম্যাচে ৯৪ দশমিক ৪০ গড়ে ৪৭২ রান করেন ২৯ বছর বয়সী বেটস। পাশাপাশি বল হাতেও ৮ উইকেট ছিলো তার ঝুলিতে।
বেটসের চাইতে ওয়ানডেতে বেশি সংগ্রহ ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার তৃশা চেটির। ১০ ম্যাচের ইনিংসে ৫০৬ রান করেন তিনি। আর বোলিং-এ বেটসের চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছিলেন তারই স্বদেশী এরিন বার্নিংহাম। ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
ওয়ানডের মতো টি-২০ ফরম্যাটেও পারফরমেন্সে উজ্জ্বল ছিলেন বেটস। চারটি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪২৯ রান করেছেন তিনি। গড়- ৪২.৯০। নারী বিগ ব্যাশে খেলতে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন তিনি। এমন অ্যাওয়ার্ডে কথা শুনে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বেটস বলেন, ‘আমি সত্যিই অবাক হয়েছি এবং আনন্দিত হয়েছি। কারন আমি দু’টি ফরম্যাটেরই বর্ষসেরা খেলোয়াড়। এমন অ্যাওয়ার্ড ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে আমাকে উৎসাহ যোগাবে।’
এর আগে ২০১৩ সালে শুধুমাত্র ওয়ানডেতে বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন বেটস।
এদিকে, নারীদের বর্ষসেরা ১২ দলের স্কোয়াডও ঘোষণা করেছে আইসিসি। সেই দলেও আছেন বেটস। তবে দলের অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্টেফানি টেইলর।
বর্ষসেরা দল (ব্যাটিং অর্ডার অনুযায়ী) : সুজি বেটস (নিউজিল্যান্ড), রাহেলা প্রিস্ট (নিউজিল্যান্ড, উইকেটরক্ষক), স্মৃতি মান্দানা (ভারত), স্টেফানি টেইলর (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অধিনায়ক), মেগ ল্যানিং (অস্ট্রেলিয়া), ইলিয়াস পেরি (অস্ট্রেলিয়া), হিদার নাইট (ইংল্যান্ড), দেন্দ্রা ডোটিন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), সুনে লুস (দক্ষিণ আফ্রিকা), আনা শারবসোল (ইংল্যান্ড), লে ক্যাসপেরেক (নিউজিল্যান্ড), কিম গার্থ (দ্বাদশ ক্রিকেটার) (আয়ারল্যান্ড)।
মন্তব্য চালু নেই