শিশুর কোমল ত্বকে ফাঙ্গাশ, ভয়ানক নয় তো?
শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। এসময়ে শিশুদের কোমল ত্বকে দেখা দেয় নানা জটিলতা।
শিশুদের ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে ওঠে, হাত-পায়ের চামড়া মসৃণতা হারিয়ে ফেলে, ফাঙ্গাস, চুলকানি, অ্যালার্জিসহ ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা ভয়ানক আকার ধারণ করার আগেই প্রয়োজন শিশুর ত্বকের বাড়তি যত্ন।
শিশুর বাড়তি যত্ন সম্পর্কে যুগান্তরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ড. সাখাওয়াত আলম বলেন, শীতের এ সময়ে শিশুর ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক দেখায়। শিশুর ত্বকে দেখা দেয় ফাঙ্গাশ, চুলকানি, অ্যালার্জি, র্যাশের মতো সমস্যা। এসময়টা শুধু লোশন, ক্রিম মাখালে চলবে না বিভিন্ন বিষয়ে অভিভাবককে সতর্কতাও জরুরী।
শীতে অনেকে শিশুর কোমল শরীর শরিষার তেল দিয়ে মালিশ করেন। এটা একদম উচিত নয়, কারণ এ তেল ব্যবহারে শিশুর শরীরের র্যাশ, এ্যালার্জির ও ফাঙ্গাশের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শীতে শিশুর ঠাণ্ডা লাগার ভয়ে অভিভাবকরা গোসল করাতে চান না। এটা করবেন না, এ সময়টা শিশুকে নিয়মিত গোসল করাবেন। প্রতিদিন শিশুকে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানোই ভালো।
গোসলের সময় শিশুর শরীরের খাঁজগুলো যেমন- গলার নিচে, ঘাড়ে, হাঁটুর ভাঁজ, বগল- এরকম জায়গাগুলো পরিষ্কার করে দিতে হবে। তা না হলে এসব জায়গায় ময়লা জমে চুলকানি দেখা দিতে পারে।
শিশুর স্পর্শকাতর স্থান শুকনো রাখবেন। এসব এলাকা ভেজা থাকলে বা ময়লা জমলে শিশু চর্মরোগে আক্রান্ত হতে পারে।
শিশুর গোসলের সময় গ্লিসারিন বা কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে। কাপড়-চোপড় সাবান দিয়ে ধোয়ার পর পরিষ্কার পানিতে বার বার চুবিয়ে সম্পূর্ণ সাবানমুক্ত করে শুকানো উচিত।
চর্মরোগ আছে এমন কারোর কোলে শিশুকে দেয়া উচিত নয়।
ডায়াপার পরানো শিশুদের উরুসন্ধি ও পশ্চাদ্দেশ ত্বক অনেক সময় লাল হয়ে যায়। পরে সেখানে চুলকায়, দানা দানা ওঠে। এরকম ক্ষেত্রে ভেজা ডায়াপার বেশিক্ষণ পরিয়ে রাখাবেন না। ডায়াপার বেশিক্ষণ রাখলে শিশুর ঠাণ্ডা লাগতে পারে। এতে ত্বকেরও ক্ষতি হয়।
শীতে শিশুকে সরাসরি উলের পোশাক, খসখসে ও অমসৃণ কাপড় পরাবেন না। এতে ত্বকে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। শিশুকে উলের কাপড় পরানোর আগে নিচে সুতি কাপড় পরিয়ে রাখা উচিত।
শিশুকে গোসলের আগে শিশুর শরীর অলিভ ওয়েল তেল দিয়ে ভালো করে মালিশ করুন। হাত ও পা উপর থেকে নিচে টেনে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করতে হবে।
রোদ ভিটামিন ‘ডি’ থাকে যা শিশুর ত্বকের জন্য ভালো। প্রতিদিন গোসলের পর শিশুকে ১৫ মিনিট রোদে রাখতে পারেন।
শিশুর জন্য ময়েশ্চারাইজারযুক্ত বেবি ক্রিম, লোশন কিনুন এতে কোমল ত্বকের ক্ষতি হয় না।
শীতের এ সময়টাতে শিশুকে শিশুকে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ান। এছাড়া ডিমের কুসুম, ফলের রস, সবজির স্যুপ, গাজর, টমেটো, কমলার রস, বিট খাওয়ান। এসব খাবার শিশু স্বাস্থ্যে জন্য খুবই প্রয়োজন। এতে শিশুর ত্বকও উজ্জল হয়।
মন্তব্য চালু নেই