বরিশাল বুলসের ডাউইড মালান মেহরাবকে যা বলে গেলেন

শেষ হলো এক মাসের বিপিএল-যজ্ঞ। পেছন ফিরে তাকিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসকে যোগ্য দল হিসেবেই শিরোপাজয়ী মনে করছেন মেহরাব হোসেন জুনিয়র। আবার খুলনা টাইটানসকে মানছেন আসরের চমক। শফিউল ইসলাম ও মমিনুল হকের পারফরম্যান্স নিয়ে মুগ্ধতার কথাও জানান তিনি।

মেহরাব হোসেন জুনিয়র : শুরুর দিকের ম্যাচগুলো একঘেয়ে লেগেছে। কারণ ব্যাটসম্যানরা একেবারেই খেলতে পারছিল না।
পরে চট্টগ্রাম-পর্বে রান হয়েছে বেশ। ঢাকায় ফেরার পর আবার রানখরা। কিন্তু এ সময় আবার বেশ কিছু রোমাঞ্চকর খেলা হয়েছে। বিশেষ করে শেষদিকে যখন সবগুলো দলের সামনে প্লে-অফে খেলার সুযোগ ছিল। তিন-চারটি দলের পয়েন্ট সমান; ম্যাচগুলো তাই উত্তেজনাপূর্ণ হয়েছে।

প্রশ্ন : বিপিএলে এবার মোটের ওপর রান হয়েছে কম। সেটি কি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে নাকি উইকেটের জন্য?

মেহরাব : আমি বলব, দুটোই। চট্টগ্রামে ভালো উইকেট ছিল; যা টি-টোয়েন্টি উপযোগী। সেখানে তো ভালোই রান

হয়েছে। কিন্তু মিরপুরের উইকেটে ব্যাটসম্যানদের যথেষ্ট ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। উইকেটের ব্যাপার আছে, পাশাপাশি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কথাও বলতে হবে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা এখনো ঠিক জানেন না, এই ফরম্যাটে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়।

কারণ বিপিএল ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে আর তো কোনো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট হয় না। এখানে আরেকটি ব্যাপারও রয়েছে। প্রায় সব দলের একাদশে ঘন ঘন পরিবর্তন হয়েছে। প্রত্যাশিত ফল না পেলে অনেক সময় মালিকপক্ষই ওই অদল-বদল করেছেন। ফলে অনেকে একাদশে থিতু হয়ে নির্ভার থেকে খেলতে পারেননি। বরিশাল বুলসের ডাউইড মালানের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ও আমাকে ঠিক এই কথাই বলে।

প্রশ্ন : ঢাকা ডায়নামাইটস যে চ্যাম্পিয়ন হলো, তা কি প্রত্যাশিত ছিল?

মেহরাব : আমার কাছে অন্তত প্রত্যাশিত ছিল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগ থেকেই বলে আসছি, ঢাকা ফেভারিট। ওদের স্থানীয় খেলোয়াড়রা দুর্দান্ত। সঙ্গে যে বিদেশিরা আসে, তারা টি-টোয়েন্টিরই ক্রিকেটার। আমি ভেবেছি, ঢাকাকে কেউ আটকাতে পারলে চিটাগং ভাইকিংস পারবে। ওরা ফাইনালে উঠতে না পারায় নিশ্চিত হয়ে যাই যে, সাকিবের হাতে ট্রফি উঠছে। আমি বরং বলব, খুলনা টাইটানস যে এত দূর আসবে, তা প্রত্যাশিত ছিল না। রিয়াদের (মাহমুদ উল্লাহ) নেতৃত্বে দুর্দান্ত খেলে ওরা শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে।

প্রশ্ন : টুর্নামেন্টে কার কার পারফরম্যান্স আলাদা করে চোখে পড়েছে?

মেহরাব : প্রথমেই বলব শফিউলের কথা। পুরো বিপিএলে অসাধারণ বোলিং করেছে। এত ধারাবাহিকভাবে এত ভালো বোলিং করতে ওকে দেখিনি কখনো। খুলনাকে এত দূর টেনে আনায় শফিউলের বড় ভূমিকা। এ ছাড়া আমি খুব আনন্দিত মমিনুল হকের ব্যাটিংয়ে। ওর গায়ে ‘টেস্ট ক্রিকেটার’-এর তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ও এবার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ওপেনিং করেছে। তাতে সফলও হয়েছে। আরো অনেকে হয়তো আছে। এ মুহূর্তে শফিউল-মমিনুলের পারফরম্যান্সের কথাই মনে পড়ছে।



মন্তব্য চালু নেই