‘মনে হয় না, দর্শক আমাকে সলমনের ‘বৌদি’ হিসেবে মেনে নেবেন’

২৭ বছর আগে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। কিন্তু ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’-র সুমনকে এখনও ভুলতে পারেননি দর্শক। তারপর সব ছেড়েছুড়ে সংসার করতে চলে যান ভাগ্যশ্রী। বলিউড আর তেমনভাবে দেখেনি তাঁকে। এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভাগ্যশ্রী বলেছেন, সলমন খানের সঙ্গে এখনও মাঝে মধ্যে যোগাযোগ হয় তাঁর। জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। কোনও অনুষ্ঠানে দেখা হলেও কথাবার্তা হয়।

সলমনের সঙ্গে আরও কোনও ছবি করা তাঁর হয়ে ওঠেনি। টেলিভিশনের পর্দায় তিনি বয়স্ক রোল করলেও সিনেমায় সলমন এখনও নায়ক। ভাগ্যশ্রী জানাচ্ছেন, অফার এলেও পর্দায় সলমনের বৌদি সাজা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ দর্শক কোনওভাবেই তাঁকে সেই ভূমিকায় গ্রহণ করবেন না।

তবে যদি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’-র রিমেক হয়, তবে নিজের জায়গায় আলিয়া ভট্টকে দেখতে চাইবেন তিনি। সলমনের জায়গায় রণবীর সিংহ বা রণবীর কপূর। দুই রণবীরের অভিনয়েরই দারুণ ফ্যান তিনি।

শোনা গিয়েছিল, সলমন খান তাঁর ছেলে অভিমন্যুকে বড় পর্দায় ব্রেক দেবেন। ভাগ্যশ্রী জানিয়েছেন, সেই খবর সত্যি ছিল না। তাঁকে একবার সংবাদমাধ্যম জিজ্ঞাসা করে, তিনি কি চান, সলমনের হাত ধরে সিনেমায় সুযোগ পান তাঁর ছেলে অভিমন্যু। জবাবে তিনি বলেন, তা দুর্দান্ত হবে। এ ব্যাপারে তিনি সলমনের সঙ্গে কথা বলবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হয়তো। অথচ সেখান থেকে গুজব ছড়িয়ে যায়, অভিমন্যুকে সলমন ব্রেক দিচ্ছেন। ফলে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’-য় তাঁর সহ অভিনেতাকে ফোন করে বিষয়টি খুলে বলেন তিনি। সলমন একটুও অসন্তুষ্ট হননি। তিনি সলমনকে বলেন, অভিমন্যুর সঙ্গে তাঁর দেখা হলে মা হিসেবে তিনি খুশি হবেন। যদিও পরে আর কথা এগোয়নি।

কেন আর বড় পর্দায় সেভাবে দেখা গেল না তাঁকে? ভাগ্যশ্রীর জবাব, তাঁর স্বামী হিমালয় তাঁকে নায়কদের সঙ্গে রোমান্স করতে দেখতে স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। তাঁর শ্বশুর শাশুড়ির কোনও সমস্যা না হলেও হিমালয় অসন্তুষ্ট হতেন। অথচ স্বামীকে তিনি পাগলের মত ভালবাসতেন। তাই খানিকটা বাধ্য হয়েই নিজেকে ছবির জগত থেকে সরিয়ে নেন তিনি। -এবিপি আনন্দ।



মন্তব্য চালু নেই