এই ৫টি বই বদলে দিয়েছিল বিশ্বের শীর্ষ ধনী বিল গেটসের জীবন, সবাইকেই পড়ার পরামর্শ

প্রযুক্তিবিশ্বের মহারথী তিনি। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় ধনী ব্যক্তিদের একজন বিল গেটসকে কে না চেনেন। শুধু গবেষণা নয়, ব্যস্ত জীবনে সময় বের করে প্রচুর বই পড়েন তিনি। বিল গেটস যখন বিশেষ ৫টি বইয়ের কথা বলেন, তখন সবাই বইগুলো পড়তে চাইবেন। এখানে বিল জানাচ্ছেন এই বইয়ের পরিচয়। তার মতে, বইগুলো সব মানুষেরই পড়া উচিত। এসব বাই আপনাকে স্মার্ট করে তুলবে বলেই মনে করেন গেটস।

১. সেপিয়েন্স- এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব হিউম্যানকাইন্ড : ইউভাল নোয়া হারারির লেখাই বইটি সবাইকে পড়তে পরামর্শ দেন গেটস। বলেন, এই বইটা আমি এবং মেলিন্ডা দুজনই পড়েছি। এর অনেক বিষয় নিয়ে ডিনার টেবিলে আমাদের আলোচনা হয়। বইটিতে হারারি এক অসম্ভব চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। গোটা মানসভ্যতার ইতিহাস তিনি ৪০০ পাতার মধ্যে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে হারারির অনেক কথার সঙ্গে আমি একমত নই। লেখক বলেছেন, কৃষি কাজ শুরুর আগেই মানুষ অনেক অবস্থায় ছিল। মানব জাতির অতীত এবং ভবিষ্যত জানতে আগ্রহী এমন যেকোনো মানুষকে আমি এই বইটি পড়ার অনুরোধ করবো।

২. হাউ নট টু বি রঙ : জর্ডান এলেনবার্গের বইটি প্রসঙ্গে বিল বলেন, এলেনবার্গ একজন গণিতবিদ এবং লেখক। তিনি দেখিয়েছেন, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিভাবে গণিত আপনার অজান্তেই কাজ করে যাচ্ছ। কিছু অংশে গণিত সত্যিই বড় জটিল হয়ে ওঠে। কিন্তু এটা নিশ্চিত করে যে, আপনি সব সময় এর সঙ্গেই আছেন।

৩. দ্য বুলি পালপিট : ডরিস কিয়ার্নস গুডউইনের লেখা বইটি পড়ে ফেলেছেন বিল। এর সম্পর্কে বলেন, গুডউইন বইটিতে একটি প্রশ্ন তুলেছেন। একে কেন্দ্র করেই আমার চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। সামাজিক পরিবর্তন কিভাবে ঘটে? এটা কি একজন অনুপ্রেরণাদায়ক নেতৃত্বের মাধ্যমে ঘটে, নাকি এর পটভূমি তৈরি করতে অন্যান্য শর্ত পূরণ করতে হয়?

৪. এরাডিকেশন : ন্যান্সি লেইস স্টেপান: একটি রোগকে সমূলে উৎপাটন করতে কেমন প্রচেষ্টা চালানো হয় এবং কত চেষ্টাই না ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়, সেই ধারণা দেবে বইটি। রোগবালই থেকে মুক্তি পেতে এই পৃথিবী কি কি করেছেন তার সম্পর্কে গভীর ধারণা মিলবে আপনার। জানতে পারবেন, আরো বেশি মানুষের জীবন বাঁচাতে আপনার করণীয় কি হতে পারে? বইটি সম্পর্কে এমন ধারণার কথাই বলেছেন বিল গেটস।

৫. দ্য সিক্সথ এক্সটিঙ্কশন : লিখেছেন এলিজাবেথ কোলবার্ট। বিল বলেন, পরিবেশ নিয়ে মানুষ একধাঁচের লেখা লিখে যায়। কিন্তু এলিজাবেথ সেই প্রতারণার আশ্রয় নেননি। তিনি কেবল বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। আর এগুলোকে আকর্ষণীয় কাহিনীর মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। বইটি গুরুগম্ভীর। কিন্তু এতে আসক্ত হয়ে পড়বেন অনায়াসে। প্রচুর তথ্য সংবলিত একটি বই। সূত্র : ইনক



মন্তব্য চালু নেই