অপুর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এবার মুখ খুললেন শাকিব খান!
অপু প্রসঙ্গে কোনো কথাই বলতে চান না শাকিব খান। তবে এবার কিছুটা হলেও মুখ খুলেছেন তিনি। তার সোজা কথা, আমার কারণে সে আড়াল হবে কেন, নিরুদ্দেশ থাকবে কেন? যদি আমার বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ থেকেই থাকে তবে তা জানানোর মতো যথেষ্ট জায়গা আছে। কেউ লুকিয়ে থেকে কাদা ছুড়বে কেন? এতে কী সমস্যার সমাধান হবে?
শীর্ষ নায়ক শাকিব খান এখন অভিনয় নিয়ে আকাশ পাতাল ব্যস্ততায় দিন কাটাচ্ছেন। কখনো দেশে কখনোবা বিদেশের শুটিং লোকেশনে ছুটে যাচ্ছেন। তার ইচ্ছে নতুন বছরে নিজের প্রযোজনা সংস্থা থেকে একাধিক ছবি নির্মাণের কাজ শুরু করবেন তিনি। এসব ছবি হবে বিশ্বমানের এবং এগুলোতে থাকবে নানা চমক।
নির্মাণ কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিতে অনেক আগেই অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন শীর্ষ নায়ক। চলচ্চিত্রের বাইরে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতেও এখন স্বস্তিবোধ করেন না তিনি। তার কথায় দেড় যুগেরও বেশি সময় হয়ে গেল চলচ্চিত্রে এলাম। হিসাব কষে দেখলাম এই শিল্পের জন্য কিছুই করতে পারিনি। সময় তো কারো জন্য বসে থাকে না। এখন ভাবছি এই মুহূর্তে যদি এ শিল্পের জন্য কল্যাণকর স্মরণীয় কিছু শুরু করতে না পারি তাহলে এই শিল্প, দেশ আর মানুষের কাছে মৃত্যুর পরেও অকৃতজ্ঞ হয়ে থাকব। তাই ‘কিছু করা’র কাজটা নতুন বছরেই শুরু করতে চাই।
শাকিব তো একসময় ভারতীয় ছবি এবং যৌথ প্রযোজনার বিরুদ্ধে ছিলেন। এখন একটানা ভারতের সঙ্গে যৌথ আয়োজনের ছবিতে কাজ করছেন কেন? এমন প্রশ্নে চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ এঁকে বলেন, দেখুন আমি সবসময় অনিয়মের বিরুদ্ধে। সেটি যে কোনো কাজ হতে পারে। এ ধরনের ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে নির্মাতার কাছ থেকে জেনে নেই নিয়ম কানুন কতটা মানা হ্চ্ছে। তারপর কাজ শুরু করি। আরেকটা বিষয় হচ্ছে আমরা যদি একঘরে হয়ে থাকি আর নিজেদের চার দেয়ালের মাঝে বন্দী করে রাখি তাহলে এগুবো কি করে। আন্তর্জাতিক রাস্তায় হাঁটব কি করে। এখন মুক্তবাজার অর্থনীতি, উম্মুক্ত আকাশ সংস্কৃতি আর বিশ্বায়নের যুগ। তাই বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে আর বিশ্ব দরবারে প্রতিনিধিত্ব করতে হলে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে নিজের কাজকে বিদেশের মাটিতে ছড়িয়ে দিতে হবে। বর্তমানে আমাদের বাণিজ্যিক ছবি আবার আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাচ্ছে এবং সফল হচ্ছে। সম্প্রতি ‘শিকারি’ ছবিটি নিয়ে মালয়েশিয়া গেলাম। ছবিটি নিয়ে সেখানকার দর্শকের যে আগ্রহ আর কৌতূহল দেখেছি তাতে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, বিশ্ববাজারে আমাদের ছবির চাহিদা আকাশচুম্বি। তাই আমাদের ছবিকে আমাদেরই বিশ্ববাজারে পৌঁছে দিতে হবে। ছবি এক্সপোর্ট করে সহজে বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব। এই ক্ষেত্রটি প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে ছবি নির্মাণের যে সাপোর্ট বিশেষ করে টেকনিক্যাল দিকটি আমাদের দেশে খুবই দুর্বল। প্রাইভেট সেক্টরে নানাভাবে এই দিকটির উন্নয়নের চেষ্টা চালানো হলেও সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এফডিসি এক্ষেত্রে বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। ২০১১ সালে এফডিসির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য সরকার প্রায় ৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের কাজ নানা অনিয়মের কারণে ছয় বছরেও পূর্ণতা পায়নি। এ অবস্থায় টেকনিক্যাল সাপোর্ট নিতে বাধ্য হয়ে আমাদের বিদেশের ওপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। যা সত্যিই দুঃখজনক। আমাদের দেশে শিল্পী সংকট নেই, আছে মেধার সংকট। শিল্পী সমিতির আগামী নেতৃত্ব প্রসঙ্গে বর্তমান এই সভাপতির কথা হলো-যোগ্য নেতৃত্ব আসবে সেটাই চাই।
নায়ক যখন এমনসব কঠিন কথায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। অত্যন্ত সিরিয়াস হয়ে উঠলেন তখন তাকে কিছুটা হালকা করানো দরকার মনে হলো। আর এই উদ্যোগের একমাত্র সহযোগী প্রশ্ন হলো চিরকুমার সভার সদস্যপদ খারিজের আবেদন করছেন কখন? অনেকটা অপ্রস্তুত হাসি হেসে বললেন, ‘কে বলেছে আমি চিরকুমার, আপনারইতো লিখছেন আমি অনেক আগেই গোপনে ছাঁদনা তলায় বসেছি [হা…হা…হা..]। আসলে বিয়ে নিয়ে ভাবার সময় এখনো আসেনি। আগে একজন শিল্পীর দায় পুরোপুরি সেরে নেই তারপর না হয় মালাবদল করব। এর জন্য মা. বাবাই যথেষ্ট। তারা তাদের ছেলের জন্য পছন্দের পাত্রী দেখবেন আর আমাকে হুকুম করলে বাধ্য সন্তানের মতো টুপ করে বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়ব। হা…হা…।
ফের অপুর প্রসঙ্গ তুলতেই শীর্ষ নায়ক বললেন ‘প্লিজ… ওর কথা থাক। শুধু এদেশে কেন হলিউড, বলিউড আর টলিউডে জনপ্রিয় জুটি নিয়ে মুখরোচক নানা গল্প হয়। আমাদের নিয়েও তাই হচ্ছে। অপু আমার একজন ভালো সহশিল্পী। আমরা দর্শকপ্রিয় জুটি। এর বাইরে আর কোনো সম্পর্ক নেই। যা শুনছেন সবই রূপকথার গল্প। অপুর বরাত দিয়ে অনেক কথা আমিও শুনছি। সেসব শুনতে চাই না।
শুধু বলব অপেক্ষা করুন, অপু তো আর চিরকাল নিজেকে লুকিয়ে রাখবে না। যখন আড়াল ভাঙবে তখন সে নিজেই তার রহস্যঘেরা আড়াল হওয়ার গল্প সবাইকে শুনাবে। -বিডি প্রতিদিন।
মন্তব্য চালু নেই