জামায়াতকে তালাক দিন, খালেদাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়তে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘দয়া করে জামায়াতকে ছেড়ে দিন, জামায়াতকে তালাক দিন। ঘাতকদের সাথে নিয়ে আলোচনা হবে না। জামায়াতকে ছেড়ে আলোচনায় আসুন। আপনার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হলে রাষ্ট্রপতি বিবেচনা করবেন।’

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘বগুড়া স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল’ এর আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ‘আলোচনা ও মুক্তিযোদ্ধা ও গুণীজন সম্মাননা ২০১৬’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উদ্দেশে এ কথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

নাসিম বলেছেন, ‘নির্বাচন হবে ২০১৯ সালে। নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে। বিএনপি খালি প্রস্তাব দেয়। এত প্রস্তাব দিয়ে কি লাভ? সংবিধানে বলা আছে নির্বাচন কিভাবে হবে। সেই অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সব দলের সাথে আলোচনা করছেন। শুধুমাত্র জামায়াতের সাথে আলোচনা হবে না। তারা ঘাতক। সময়মতো নির্বাচন হবে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘খেলা হবে মাঠে। রেফারি থাকবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। খেলা হবে ২০১৯ সালে। কে জিতবে দেখা যাবে।’

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত কাজ করেনি। তারা মিনি পাকিস্তান বানানোয় ব্যস্ত ছিল। কিন্তু ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৮ থেকে আজ অব্দি মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা হয়নি। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল এর কাছে কতজন রাজাকারের বিচার করা লাগবে তার সঠিক হিসেব নেই। যখন-তখন এখানে-সেখানে রাজাকার বের হচ্ছে।’

মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাছে এর সঠিক তালিকা প্রণয়নের আশা ব্যক্ত করে তিনি আরো বলেছেন, ‘কয়দিন আগে মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির একটি বইয়ে জিহাদের সমার্থক শব্দ হিসেবে কতল উল্লেখ করা হয়। আরেক বইয়ে লেখা আছে বঙ্গবন্ধু নাকি ১০ই জানুয়ারি ঢাকায় ছিলেন। বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু সেই পাঠ্যবইতে কি দেওয়া হচ্ছে তার কোনো দেখভাল নেই। তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষায় শিক্ষিত করা হচ্ছে না।’

অনুষ্ঠানে ১৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। তারা হলেন- মোতাব্বির হোসেন সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বগুড়া, এ কে এম কামরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক বৃহত্তর বগুড়া সমিতি, মোহাম্মদ আব্দুল কাদের কমান্ডার ও মুাক্তিযোদ্ধা সংসদ বগুড়া সদর কমান্ড, রেজাউর রহমান খান শহীদ মাহবুব কোম্পানী কমান্ড, মতিউর রহমান বীর প্রতীক, ইসমাঈল হোসেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তোফাজ্জল হোসেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাখাওয়াত হোসেন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কাফরুল থানা, মকজুল হোসেন মুকুল প্রতিষ্ঠাতা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বগুড়া, মাসুদুর রহমান রন্টু বীর মুক্তিযোদ্ধা সভাপতি বৃহত্তর বগুড়া সমিতি, রুহুল আমিন কমান্ডা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বগুড়া জেলা ইউনিট কমান্ড, রেজওয়ান আলী বীর প্রতীক, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ইতিহাসবিদ সাবেক মহাপরিচালক বাংলা একাডেমি, আহসানুল হক মিনু বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অভিনেতা, মোহসিনুল হাকিম বিশেষ প্রতিনিধি যমুনা টেলিভিশন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল-মাহমুদ, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি মমতাজ উদ্দিন।



মন্তব্য চালু নেই