জাবিতে বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে ব্যাংক অবরোধ, ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা

শাহাদাত হোসাইন স্বাধীন, জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘বিভাগ উন্নয়ন ফি’বাতিলের দাবীতে অগ্রণী ব্যাংকের বিশ^বিদ্যালয় শাখা অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয় প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টা থেকে অবরোধের সমর্থনের অগ্রনী ব্যাংক জাবি শাখার প্রধান ফটকে অবস্থান করে জোটের নেতাকর্মীরা।

সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্টার (শিক্ষা) মোহাম্মদ আলী ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা আন্দোলনকারীদেরকে আন্দোলন প্রত্যাহারের আহবান জানান। কিন্তু জোট নেতারা বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন। পরবর্তীতে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম অন্দোলনকারীদের সাথে ঠৈকে বসেন। ঘন্টাব্যাপী এই বৈঠক কোন অর্থবহ সমাধান ছাড়া শেষ হলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ চালিয়ে যান। বিকেল ৩ টায় পুনরায় বৈঠকে বসে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন । বৈঠক শেষে উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দেন। উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম জানান,তিনি বিভাগ উন্নয়ন ফি নিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের বিভাগীয় সভাপতিদের সাথে বেঠক করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

এদিকে প্রগতিশীল জোট নেতা ও ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সভাপতি ইমরান নাদিম জানান,“ আমরা বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে অনড় আছি। এই অবৈধ ফি যতক্ষণ পর্যন্ত না বতিল না হচ্ছে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো”।

ব্যাংক অবরোধের কারণে প্রথম বর্ষের আজকের নির্ধারিত ভর্তি কাযক্রম বন্ধ ছিলো। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভর্তি হতে আসা ভর্তিইচ্ছু ও অভিভাবকরা ভোগান্তিতে পড়েন।

অভিভাবকদের সংহতি প্রকাশ ঃ ভর্তিতে বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবীতে সংহতি প্রকাশ করেন ভর্তিচ্ছু ও অভিাবকবৃন্দ। নড়াইল থেকে আসা একজন অভিভাবক আন্দোলনকারীদের শুকনো খাবার কিনে দেন । তিনি বলেন,“ ছাত্রদের এই নৈতিক দাবীর প্রতি আমি সংহতি প্রকাশ করছি,বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচিত বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিল করা ”। এনায়েত হোসেন ফিরোজ নামে একজন অভিভাবক বলেন,পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে এভাবে টাকা নেয়ার কোন যুক্তি নেই । দুই কাগজে দুইবার টাকা নেয়া হচ্ছে যা রীতিমতো অন্যায়। আমরা অভিভাবকরা ও বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবি জানাচ্ছ্ ি।

প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে আসা সালমা আক্তার জানান,‘৬৯০০ টাকা ভর্তি ফি নেয়া হচ্ছে । তারপর আবার বিভাগ উন্নয়ন ফি দিয়ে ভর্তি হওয়া আমার পক্ষে প্রায় অস¤ভব”।

ভর্তিইচ্ছু শফিকুল ইসলামের অভিভাবক মিসেস শেলী জানান,আজকে ভর্তি হতে না পেরে আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি । বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত দ্রুত বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিল করে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা ।

।ভর্তি হতে আসা একজন শিক্ষাথীর অভিভাবক পারভিন আক্তার বলেন,”আমার সন্তান মেধা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কিন্তু কেন এই ফি নেয়া হবে। সাময়িক ভোগান্তি হলেও আমি চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবী মেনে নিয়ে বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিল করুক “।



মন্তব্য চালু নেই