একজন মায়ের সন্তানের প্রতি অবহেলার এমন নজির বিরলের মধ্যে বিরলতম। প্রেমিকের সঙ্গে মৌজমস্তির জন্য ২টি দুধের শিশুকে ৯দিন ফ্ল্যাটে বন্দি করে রেখে চলে গেলেন মা। টানা ছ’দিন কিছু খেতে না পেয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে ২৩ মাসের শিশুটি। আর মৃত ভাইকে নিয়ে আরও ৩দিন ওই ফ্ল্যাটে কাটাতে হয় ২ বছরের দিদিকে। অনাহারে তারও প্রায় মারা যাওয়ার জোগার হয়েছিল। ৯দিন পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তড়িঘড়ি চিকিত্সা শুরু হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, শিশুটি খুব দুর্বল হয়ে পড়লেও, আশ্চর্যজনকভাবে তার প্রাণসংশয় ঘটেনি।

চরম মর্মান্তিক এই ঘটনা ইউক্রেনের। বছর কুড়ির ভ্লাদিসলাভা পোডচাপকো প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে নিজের দুই সন্তান ড্যানিল ও অ্যানাকে কিয়েভে নিজের ফ্ল্যাটে তালাবন্দি করে রেখে চলে গিয়েছিলেন। তিনি ফেরেন ন’দিন পর। এই ক’টা দিন ওই শিশুদের কীভাবে কেটেছে তা অবর্ণনীয়। একে খাবার বলে কিছু নেই। তার ওপর গোটা ফ্ল্যাটে সম্পূর্ণ একা একরত্তিরা। ভয়ে-আতঙ্কে দরজা টানাটানি করে পালানোরও চেষ্টা করেছে তারা, পারেনি। অসমর্থিত সূত্রে খবর, প্রতিবেশীরা বাচ্চাদের কান্না শুনে পুলিশে খবর দিলেও, পুলিশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি।

সন্তানদের প্রতি চরম বঞ্চনা ও অবহেলার জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালত তাঁকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। জেরার মুখে এই যুবতী যা বলেছেন, তা তাজ্জব করে দিয়েছে পুলিশকেও। তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না, শিশুরা এভাবে মারা যেতে পারে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিষ্ঠুর মায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মানুষজন। প্রত্যেকেরই দাবি, এমন জঘন্যতম অপরাধের জন্য ওই যুবতীর মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। ইউক্রেনের শিশু অধিকার সংক্রান্ত দূত জানিয়েছেন, ভ্লাদিসলাভার আগের বিয়ের দুই সন্তান ড্যানিল ও অ্যানা। কিছুদিন আগে নতুন এক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি এবং ফের অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন।-এই সময়