স্কুটার যখন আইডেন্টিটি! এ বছরের কয়েকটি ছবিতেই মিলবে দৃষ্টান্ত

একটা সময় ছিল, যখন বলিউডি হিরোরা এন্ট্রি নিতেন বাইকে চেপে। কখনও আবার দেওয়াল ভেঙেচুরে! এখনকার বলিউডও বাইকপ্রেমী। কিন্তু ইদানীং হিন্দি ছবির নায়কদের দেখা যাচ্ছে বাইক নয়, স্কুটারে সওয়ার হতে! এ বছরই মুক্তি পাওয়া (এবং মুক্তি আসন্ন) গোটা কয়েক ছবিতে স্কুটারে আসীন নায়কদের দেখেছেন দর্শক। তারা কেউই নায়কোচিত ভঙ্গিতে নয়, বরং খানিকটা ছাপোষাভাবেই স্কুটার চালিয়েছেন পরদায়।

অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল: রণবীর কপূর আগেও স্কুটার চালিয়েছেন ‘রকেট সিংহ: সেল্‌সম্যান অফ দ্য ইয়ার’এ। বরফি চালিয়েছিল সাইকেল। সম্প্রতি ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’এ নায়িকাকে (অনুষ্কা শর্মা) পিছনে বসিয়ে প্যারিসের রাস্তায় স্কুটার ছুটিয়েছেন রণবীর কপূর। ‘প্রাইভেট জেটওয়ালা আমির’ হওয়া সত্ত্বেও, ফুর্তির জন্য আয়ান আর আলিজে স্কুটারই বেছে নিয়েছিল! তবে লক্ষ্য করার মতো বিষয় হল, উদ্দাম মজা করার সময়েও হেলমেট পরতে কিন্তু ভোলেনি তারা!

জলি এলএলবি টু: ছবি-মুক্তির ঢের দেরি। কিন্তু টুইটারে ‘জলি এলএলবি টু’এর ফার্স্ট লুক প্রকাশিত ইতিমধ্যেই। মফস্‌সলের আইনজীবী জলির চরিত্রে অক্ষয় কুমার। কপালে তিলক আঁকা টিপিক্যাল ছাপোষা আইনের ছাত্র থেকে লড়াকু আইনজ্ঞ হয়ে ওঠে জলি। যে নিজের স্কুটারের পিছনে কনট্যাক্ট নম্বর লিখে ঘুরে বেড়ায়। স্কুটারটা জলির আইডেন্টিটির পর্যায়ে চলে গিয়েছে প্রায়! তবে আরশাদ ওয়ারসির বদলে অক্ষয় কুমার কতটা মানানসই হলেন, সেটা মালুম পড়বে ছবি-মুক্তির পর।

দঙ্গল: ‘হানিকারক বাপু’ স্কুটারে চেপে হরিয়ানার রাস্তায় ঘোরেন। দুই মেয়ে গীতা আর ববিতার কুস্তির আখড়ায় কড়া টাস্কমাস্টার তাদের বাবা মহাবীর সিংহ ফোগত। যার পরদা-রূপ আমির খান, অনেক ঘাম-রক্ত ঝরিয়ে নিজেকে ‘ফ্যাট-টু-ফিট’ বানিয়েছিলেন ‘দঙ্গল’এর শ্যুটিংয়ের সময়। ‘থ্রি ইডিয়ট্‌স’এ করিনা কপূরের পিলিয়নে সওয়ার হয়েছিলেন। এবার নিজেই স্কুটারে আসীন আমির! এই ক্রিসমাসেই আসছে ‘দঙ্গল’।

সুলতান: ‘হরিয়ানা কা শের’এর বাহনও ছিল একটা নীল স্কুটার। যাতে চেপে হরিয়ানার রাস্তায় ঘুরে বেড়াত সুলতান! সন্তানশোক থেকে লড়াইয়ের ময়দান ছাড়ার কষ্ট, সবটা ফুটিয়ে তুলেছিলেন সলমন খান। আর লড়াকু লোকটার ছাপোষা মধ্যবিত্ত হয়ে বাঁচাটাকেই চিহ্নিত করেছিল সুলতানের নীল স্কুটার। ‘দবং’ ছাড়াও সলমন খানের এই অবতার অনেকদিন মনে থাকবে দর্শকের।

তিন: ‘পিকু’তে সাইকেল, আর ‘তিন’এ স্কুটার। কলকাতার রাস্তায় ট্রাফিক বাঁচিয়ে স্কুটার চালিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। কখনও রেড রোড, কখনও বালি ব্রিজে স্কুটারে সওয়ার অমিতাভকে ছবি-শিকারি, মিডিয়া, আম-আদমি সকলেই ধাওয়া করেছিল পিছন পিছন। সত্তরোর্ধ্ব অমিতাভ পিছনে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকিকে নিয়ে স্কুটার হাঁকিয়েছিলেন পুরোদমে! যদিও ছবিতে জন বিশ্বাসের (অমিতাভ) ভাঙাচোরা নীল স্কুটারটা শেষমেশ তার হাতছাড়া হয়েছিল! -এবেলা।



মন্তব্য চালু নেই