আপনি কি সহজেই নার্ভাস হয়ে পড়েন? এগুলো করলে উপকার পাবেন
আপনি কি মাথায় বেশি কাজের চাপ পড়লে, নতুন কিছু শিখতে হলে বা অচেনা জায়গায় একা যাওয়ার কথা ভাবলেই নার্ভাস হয়ে পড়েন? অচেনা মানুষের সঙ্গে প্রথম আলাপে বোকা বোকা হয়ে যান? অকারণে ঘামতে থাকেন, দাঁত দিয়ে নখ কাটতে থাকেন? কেন এত নার্ভাস বলুন তো আপনি? চাইলে এই নার্ভাসনেস আপনি কাটিয়ে উঠতে পারেন। জেনে নিন কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে বা কী করলে আপনি এই নার্ভাস অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
হাসুন। প্রাণ খুলে হাসুন। হাসি ভাল হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে। যা মন খুশি করে।
এমন মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান যাঁরা আপনাকে হাসতে সাহায্য করেন। একা থাকলেও ভাল চিন্তা করে হাসুন।
প্রতি দিন ২০ মিনিট মেডিটেশন স্ট্রেস, উত্কণ্ঠা, অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করে।
প্রতি দিন কিছুটা সময় এক্সারসাইজ করুন। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। স্ট্রেস কাটবে।
মাঝে মাঝেই নিজের পছন্দের কোনও জায়গায় যান। যেই জায়গায় গেলে আপনি খুশি হয়ে যান, মন ভাললাগায় ভরে ওঠে। যদি না যেতে পারে তাহলে মন সেখানে নিয়ে যান।
বসে বসে সেই জায়গার কথা ভাবুন। মন খুশিতে ভরে উঠবে। স্ট্রেস দূর হবে।
নিজের জীবন নিয়ে বেশি চিন্তা করলে, ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখলে নার্ভাসনেস বাড়ে। অন্যদের কথা ভাবুন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। দেখবেন নিজের জীবনের সমস্যাগুলোও সহজ মনে হচ্ছে।
নিজের পছন্দ মতো কোনও ক্রিয়েটিভ কাজ করুন। গান, নাচ, ছবি আঁকা, কোনও বাদ্যযন্ত্র বাজানো, বাগান করা বা রান্না করার মতো কিছু করুন।
অ্যাকটিভ রিল্যাক্সেশন করুন। পছন্দের গান শুনুন, সিনেমা দেখুন বা বই পড়ুন। যা করতে ভাল লাগে করুন। এতে নিজেকে ভাল করে চিনতে, বুঝতে শিখবেন।
শরীর সুস্থ থাকলে, স্বাস্থ্য ভাল থাকলে স্ট্রেস কম হবে। তাই খাওয়া দাওয়ার দিকে নজর দিন। পুষ্টিকর খাবার খান।
যোগাযোগ তৈরি করুন। একা একা সময় কাটাবেন না। বন্ধুদের সঙ্গে, পছন্দের মানুষদের সঙ্গ, আপনার প্রতি সহমর্মী মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। সময় কাটান।
নার্ভাস বোধ করলে ঠোঁটের ওপর আঙুল বোলান। আমাদের ঠোঁটে অনেক প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভ ফাইবার থাকে। আঙুল চালালে এই সব ফাইবার উত্তেজিত হয়ে ওঠে ও নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
কেন জীবনে স্ট্রেস হচ্ছে, কী কারণে মানসিক চাপে ভুগছেন তা খুঁজে বের করুন ও সমাধান করার চেষ্টা করুন। যত বেশি স্ট্রেস থেকে পালাতে চাইবেন তত বেশি নার্ভাস হয়ে পড়বেন।
১:২ অনুপাতে ডিপ ব্রিদিং করুন। বুক ভরে গভীর ভাবে শ্বাস নিন। ধীরে ধীরে ছাড়ুন। যত সময় ধরে শ্বাস নিচ্ছেন, তার দ্বিগুণ সময় ধরে ছাড়ুন। এতে মন শান্ত হয়।
বেলি ব্রিদিং করুন। এই ধরনের শ্বাস প্রক্রিয়ায় ফুসফুস ভরে শ্বাস নিলে বুক নয় পেট ফুলে ওঠে। নিশ্বাস ছাড়ার সময় পেট ভিতরে ঢুকে আসে। এই ধরনের প্রক্রিয়ায় রিল্যাক্সেশন হয়। প্রতি দিন এ ভাবে কিছু ক্ষণ শ্বাস নিন।
একটা কাজ করার সময় অন্য কাজের চিন্তা করবেন না। এতে মনসংযোগ হবে না, নার্ভাস হয়ে পড়বেন। যখন যেই কাজটা করবেন, সেই কাজেই মন দিন। মনসংযোগ বাড়লে নার্ভাসনেস কমবে।
জীবনে কী ঘটতে চলেছে, কী হবে তা নিয়ে না ভেবে যা কিছু পেয়েছেন, যা রয়েছে তার মূল্য দিন। কৃতজ্ঞ থাকুন। জীবন উপভোগ করুন।-আনন্দবাজার
মন্তব্য চালু নেই