শতভাগ সুস্থতার পথে মোস্তাফিজ

‘আজকে সকালের প্র্যাকটিস সেশনে মোস্তাফিজ ও এবাদত দুজনই বোলিং করেছে। ট্রেনার খুবই খুশি এ দু’জনের অগ্রগতি নিয়ে। আনন্দের কথা হচ্ছে ওরা দুই স্পেলে বোলিং করতে পেরেছে। ৮০-৯০ ভাগ অ্যাচিভ করেছে। আর ৮০-৯০ ভাগ অ্যাচিভ করা মানেই কিন্তু প্রায় ফিটনেস লেভেল সম্পন্ন হওয়া।’

পেস সেনসেশন মোস্তাফিজুর রহমান এবং এবাদতের ইনজুরির সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবশিষ চৌধুরী।

দেবশিষ চৌধুরী বলেন, ‘যখন খেলার সিচুয়েশেননে যাবে তখনও ফুলটা দেবে। এখানে যখন ৮০ পারসেন্ট দিচ্ছে তখন আমরা ধরে নিচ্ছি অ্যাচিভমেন্ট পুরোপুরি হয়ে গেছে।’

মোস্তাফিজের অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ড সফরের ব্যাপারে বিসিবি চিকিৎসক বলেন ‘আর কয়েকটা দিন মাত্র সময় আছে আমাদের হাতে। এর মধ্যে আরেকটা জিম সেশন ও বোলিং সেশন হবে এরপর সিলেক্টার বা টিম ম্যানেজম্যান্ট যদি চিন্তা করবে অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ড ট্যুার করার ব্যাপারে।’

অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হলে কী ধরণের কাজ করবে? এমন প্রশ্নে দেবশিষ চৌধুরী বলেন, ‘যেহেতু ৮০-৯০ শতাংশ ইনটেনসিটিতে বোলিং করতে পারছে আমরা ধরে নেব টিমের সাথে অন্যান্য বোলাররা যে ধরণের ড্রিলগুলো করছে, যে ধরণের প্র্যাকটিস সিডিউল মেইনটেইন করবে একই সিডিউল ওরাও ফলো করতে পারবে।’

ইংল্যান্ডের মাটিতে কাউন্টি দল সাসেক্সের হয়ে খেলতে নেমে ইনজুরিতে পড়েন মোস্তাফিজ। এরপর গত ১১ আগস্ট লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার করেন প্রখ্যাত সার্জন অ্যান্ড্রু ওয়ালেস।

অস্ত্রোপচারের পর বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চলে মোস্তাফিজের পুনর্বাসন। যদিও মোস্তাফিজকে ছয় মাস মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে বলে জানান অ্যান্ড্রু ওয়ালেস।

কিন্তু বিসিবির প্রধান চিকিৎসক মনে করছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে মোস্তাফিজের সেরে উঠতে পুরো ছয় মাস লাগবে না। সেক্ষেত্রে আসছে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়েই মাঠে ফিরতে পারেন মোস্তাফিজ।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র মোস্তাফিজ। ২০১৫ সালে ২২ গজে পথচলা শুরু মোস্তাফিজের। রঙ্গিন জার্সিতে এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচে ২৬টি উইকেট শিকার করেছেন মোস্তাফিজ। সাদা পোশাকে ২ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। আর টি-টোয়েন্টিতে ১৩ ম্যাচে ২২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন মোস্তাফিজ।



মন্তব্য চালু নেই