বিপিএলে বেশ কয়েকজন বোলারের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি দেখেছেন তামিম
অভিষিক্ত ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে সবার নজরে এসেছেন আফিফ হোসেন। নিশ্চিত তার সাফল্য ও কীর্তিটা বেশ বড়। যদিও তার প্রথম উইকেটটি ছিল আম্পায়ার নাদির শাহর উপহার।
পঞ্চম ওভারে বল হাতে নেয়া এ নবীন অফস্পিনার বোলিংয়ে এসে প্রথম দুই বলে পর পর চার খেয়েছেন। চিটাগাংয়ের ওয়ান ডাউনে নামা অভিজ্ঞ জহুরুল হক আনকোরা আফিফকে পেয়ে চড়াও হন শুরু থেকেই। প্রথম বলে চার হাঁকান মিডঅফের ওপর দিয়ে তুলে।
ঠিক পরের বলে আবার বাউন্ডারি; কভারের ওপর দিয়ে। তৃতীয় বলেই আউট জহুরুল। গুডলেন্থে পিচ পড়া ডেলিভারি সামনের পায়ে এসে থার্ডম্যানে গলানোর জন্য ব্যাটের বেডকে খানিক ওপেন করে দিয়েছিলেন জহুরুল। বল ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে সোজা গিয়ে আঘাত হানে পিছনের পায়ে। আম্পায়ার নাদির শাহ বোলার ও কিপারের আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙ্গুল তুলে দেন।
টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেছে জহুরুলের ব্যাটে লেগে বল প্যাডে আঘাত হানে। এই আউট নিয়ে ডাগ আউটে বসা চিটাগায় ভাইকিংস অধিনায়ক তামিম ইকবালকে সীমানার কাছে এসে রিজার্ভ আম্পায়ারের সঙ্গে মৃদু প্রতিবাদও জানাতে দেখা যায়। খেলা শেষেও তামিম ইকবালের চোখেমুখে খানিক হতাশা।
রাতে সংবাদ সম্মেলনে এসে শুরুতে কূটনৈতিক ভাষায় কথা বললেও শেষ পর্যন্ত তামিম বুঝিয়ে দেন আফিফের বলে জহুরুল আউট ছিলেন না। কথা উঠল আম্পায়ারিং নিয়ে। জানতে চাওয়া হলো আম্পায়ারিং নিয়ে আপনি কি হতাশ?
তার জবাবে তামিম যা বলেছেন, তার তাৎপর্য বিশাল। চিটাগাং কিংস অধিনায়কের ব্যাখ্যা, হতাশা তো অবশ্যই আছে। দেখতে হয়তোবা একটি উইকেট মাত্র; কিন্তু ওই একটা উইকেট অনেক সময় পরিস্থিতি বদলে দেয়। ওটা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ছিল। জহুরুল পর পর দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। তবে তিনি আউট হয়েছেন কি না, তা আমি বলতে পারবো না। বললে আমি বিপদে পড়ে যাব। তাই না বলাই ভালো।’
আম্পায়ারিং নিয়ে এর বেশি কিছু না বললেও তামিম মহা বিরক্ত অন্য বিষয়ে। চিটাগাং ভাইকিংস অধিনায়ক তামিম বেশ কিছু বোলারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে রীতিমত হতাশ। তার ধারণা, এবারের বিপিএলে বেশ ক’জন বোলারের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ।
তার কথা, ‘আম্পায়রিং না, আমি কিছু কিছু বোলারের বোলিং অ্যাকশন দেখে অবাক! কিছু কিছু বোলার এমন অ্যাকশনে বোলিং করছে, এভাবে করে আমাদের লিগে খেলা উচিত না। আম্পায়াররা রিপোর্টও দিচ্ছে। বিসিবি কয়েকজনের বিরুদ্ধে অ্যাকশনও নিয়েছে। আমি এটাই বলবো কিছু বোলারদের অ্যাকশনের উপর এটা খেয়াল করা উচিত। আমার কাছে মনে হয় এটা দেখা উচিত। বিশ্বের যে কোনো বড় টুর্নামেন্টে কেউ পার পায় না। এখানে হয়তো সবাই পার পেয়ে যাচ্ছে। যদিও এবার বিসিবি শুরু থেকেই বেশ কয়েকজন বোলারের বিপক্ষে অ্যাকশন নিয়েছে। এটাই সঠিক দিক। আমার মনে হয় এ ব্যাপারে আরও কঠোর হওয়া উচিত।’
তামিমের মূল্যায়ন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও কয়েকজন বোলারের অ্যাকশন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ; কিন্তু সেটা তো আর বিপিএলের মতো টিভিতে বহির্বিশ্বে দেখানো হয়নি; কিন্তু বিপিএল সারা বিশ্ব দেখে। এ আসরে কেউ এসেই ইচ্ছেমতো বল করে চলে যাবে- এটা হতে পারে না। এটা আসলে টুর্নামেন্টের জন্য ভালো না। একটা দল অতিরিক্ত একটা সুবিধা পেয়ে যায়। আমার মনে হয়, এই জিনিসটা যদি বিসিবি ভালোভাবে দেখে, আমি নিশ্চিত তারা মনিটর করছে। না দেখলে তো রিপোর্ট হতো না। তারপরও আমার মনে হয় আরো একটু কঠোর হওয়া উচিত।’
মন্তব্য চালু নেই