স্ত্রীকে ফোন করে ‘বেঁচে আছি’ বলার পরই সব শেষ

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে স্ত্রীকে শেষ ফোনটা করেছিলেন চাপেকোয়েনস ফুটবল দলের অতিরিক্ত গোলকিপার দানিলো পাদিলহা। স্ত্রীকে ফোন করে ‘বেঁচে আছি’ বলার পরই চলে যান না ফেরার দেশে।

সোমবার রাতে মেডেলিনের কাছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিমান থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল দানিলোকে। হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পাঁচ ভাগ্যবানের মধ্যে রাখা যায়নি তার নাম। যারা শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।

৩১ বছরের দানিলো চিকিৎসা চলতে চলতেই স্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছিলেন, তিনি বেঁচে রয়েছেন। তবে এর কয়েক মিনিট পরর তার স্ত্রীর কাছে পৌঁছায় দানিলোর মৃত্যুর খবর।

কিছুদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ত্রীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন দানিলো। লিখেছিলেন, ‘মাই লাভ’। প্লেন ছাড়ার আগেও সতীর্থ অ্যালান রাসেলের সঙ্গে প্লেনের ভেতরের ছবি পোস্ট করেছিলেন দানিলো।

যেখানে লিখেছিলেন, ‘বেশি দেরি নেই, আমরা আসছি কলম্বিয়া।’ কলম্বিয়া পৌঁছনো তো হলই না। ফেরা হল না নিজের বাড়িতেও। সারা জীবনের মতো হারিয়ে গেলেন দানিলোরা। রেখে গেলেন শুধু স্মৃতি।

এদিকে ফুটবল জীবনের ৩০০তম ম্যাচটি খেলা হল না চাপেকোয়েনসের আর এক গোলকিপার নিভালদোর। সতীর্থদের মৃত্যুর এই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে অবসর নিয়ে নিয়েছেন ৪২ বছর বয়সী নিভালদো।

তারও দলের সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৩০০তম ম্যাচটি তিনি খেলতে চেয়েছিলেন ঘরের সমর্থকদের সামনে। যে কারণে বুধবার কোপা সুদামেরিকানার ফাইনালের প্রথম লেগে খেলতে যাননি তিনি।

তার মতোই দলের সঙ্গে না গিয়ে প্রাণে বেঁচে গেছেন-আলেজান্দ্রো মার্তিনুসিও, নেনেম ডেমারসন, মার্সেলো বোয়েক, আদ্রেই, হেওরান, মোয়েসেস ও রাফায়েল লিমা।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার চাপেকোয়েনস দলটি দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব ফুটবলের ফাইনাল খেলার জন্য কলোম্বিয়ার মেডেইন শহরে যাচ্ছিলো। শহরটির বাইরে একটি পার্বত্য এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে ৭৭ জন যাত্রীর ৭১ জনই নিহত হয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই