শীতে ত্বক-চুল রুক্ষ হলে কী করবেন

শীতে ত্বক ও চুল রুক্ষ হয়ে যায়। এসময় রুক্ষ ও মলিন ত্বকের জন্য বেশ বিব্রতও হতে হয় আমাদের। চেহারাও স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারায়। ফেকাসে ছাপ পড়ে চেহারায়। তাই এসময় নিতে হয় নিজের একটু বাড়তি যত্ন।

বিশেষ করে জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও সঠিক ক্রিম, সাবান, শ্যাম্পুর ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শীতকালে ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য রক্ষা করা যায়।

তাই শীতকালে বিশেষজ্ঞরা ত্বক ও চুলের কিছু বাড়তি যত্নের করা বলেছেন, নিম্নে তা আলোচনা করা হল :

* শীতকালে ক্রিম, সাবান যাই ব্যবহার করুন না কেন তা যেন ময়েশ্চারাইজারযুক্ত হয়।

* দিনে অন্তত তিনবার ক্রিম ব্যবহার করবেন।আলফা হাইডক্সি বা ভিটামিন-ই যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।

* গোসলের আগে শরীরে অলিভঅয়েল হালকা করে মাখতে পারেন গোসল শেষে অল্প পানিতে সামান্য অলিভ অয়েল দিয়ে গা ধুয়ে নিন। তারপর আলতো করে গা মুছবেন।

* অনেকে মনে করেন শীতকালে সানস্ক্রিন প্রয়োজন হয় না। এটি ভুল। সূর্যরশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। এটি ত্বকে দ্রুত বলিরেখা ফেলে। ত্বকে উপযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

* শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে বলে ত্বকের এপিডার্মাল বা ওপরের স্তর থেকে আর্দ্র ভাব কমে যায়।

* শীতের আরেক সমস্যা হচ্ছে ঠোঁট ফাটা ও কালো হয়ে যাওয়া। এর সমাধান গ্লিসারিন। জিভ দিয়ে ঠোঁট বারবার ভেজাবেন না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিন লাগাবেন।

* হাত-পায়ের ত্বক ফেটে যাওয়ার আগেই গ্লিসারিন মেখে নেয়া ভালো।

* শীতে চুল রুক্ষ হতে পারে এবং খুশকির আক্রমণ হয়। খুশকির জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।

* চুল সাধারণত দু’রকম, তৈলাক্ত ও শুষ্ক। শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে হটওয়েল থেরাপি ব্যবহার করা যায়।

যেমন : কুসুম গরম অলিভ অয়েল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় ১৫ মিনিট জড়িয়ে রাখতে হবে। তারপর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলবেন।

* ভেজা চুল কখনও আঁচড়াবেন না। তোয়ালে দিয়ে খুব ঘষে চুল মুছলে চুলের ক্ষতি হয়। ভেজা চুল কখনও বাঁধবেন না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বজ্রাসনে বসে চুল আঁচড়াবেন।

শীতের শাকসবজি ও ফল স্বাস্থ্যোজ্বল ত্বক ও চুলের জন্য প্রয়োজন। শিম, বরবটি, নানারকম শাক, মটরশুঁটি, ফুলকপি, ক্যাপসিকাম প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন।



মন্তব্য চালু নেই