‘মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ’ বরযাত্রীরা হাইজ্যাক করে নিল বিমান

ভারতেই বোধহয় এইসব ঘটে! বিয়ে বাড়ির লোকজনের হুজুতির জেরে ২ ঘন্টা দেরিতে ছাড়তে বাধ্য হল জেট এয়ারওয়েজ একটি বিমান। কারা যাবেন আর কারা যাবেন না, তা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠল বিমান বন্দর।

বিয়ে বাড়ির লোকজন কার্যত হাইজ্যাক করে নিল জেট এয়ারলাইন্সের একটি বিমানকে। মুম্বাই থেকে ভোপাল যাওয়ার কথা ছিল একটি বিমানের। সেই বিমানেই ৮০ জনের টিকিট কাটা ছিল। একটি বিয়ে উপলক্ষে তাদের ভোপাল যাওয়ার কথা।

অনেকে ঠিক সময়েই এসে গিয়েছিলেন। বোর্ডিং পাস নিয়ে বিমানে বসেও পড়েছিলেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে ১৭ জনকে ঘিরে। তারা আসেন অনেক দেরিতে। তাদের জানানো হয়, তাদের অন্য বিমানে যেতে হবে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সেই যাত্রীরা। সূত্রের খবর, ওই ৮০ জন বিভিন্ন গ্রুপে আলাদা করে টিকিট কাটেন। কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। অনেকে চিৎকার শুরু করে দেন।

শোনা যায়, তারা নাকি এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। তাদের দাবি, তাদের নিয়েই যেতে হবে। বোর্ডিং পাস দেওয়া হলেও সিট নম্বর দেওয়া হয়নি। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যাত্রীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। বিয়েবাড়ির অন্য যাত্রীরা দাবি তোলেন, ওই ১৭ জনকেও সঙ্গে নেওয়া হোক। তার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করা যেতে পারে।

জেট এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানান, বিমানের ইকনমি ক্লাসে আর জায়গা নেই। তাদের অন্য বিমানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এই সমাধানসূত্রে মেনে নেননি অনেকে। প্রবল চিৎকার শুরু হয়। কার কী দাবি, সেটাই বোঝা যাচ্ছিল না।

একদল বলছিলেন, বিয়েবাড়ির জন্য কি বিমান হাইজ্যাক হয়ে যাবে?‌ বাকি যাত্রীদের কি সময়ের মূল্য নেই?‌ বিমান কর্মীদের সঙ্গে যাত্রীদের তুমুল বচসা শুরু হয়। ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও রাজি হননি অনেকে।

এই সময় পাইলট জানান, বেশি দেরি করা যাবে না। কারণ ভোপাল বিমানবন্দরে সংস্কারের কাজ চলছে। সাড়ে নটার পর আর সেখানে নামা যাবে না। বিমান অনেক দেরিতে ছাড়ে।



মন্তব্য চালু নেই