পশুর চামড়া বাদ, মানুষের চামড়া দিয়ে রপ্তানি হচ্ছে ব্যাগ! জানুন সেই আসল রহস্য
ছাগল বা গরুর চামড়া তো মামুলি ব্যাপার, কুমির-গন্ডারের কথাও জানা আছে। কিন্তু মানুষের চামড়া দিয়ে তৈরি হতে পারে বেল্ট বা পার্স-এর মতো পণ্য, একথা এই একুশ শতকে বসে বিশ্বাস করতে গেলে হেঁচকি উঠতে বাধ্য। না, বোর্নিও বা আমাজনের গহীন অরণ্য নয়, খোদ যুক্তরাজ্যের বুকেই তৈরি হয় মানুষের চর্মজাত প্রোডাক্ট। এবং ‘হিউম্যানলেদার ডট কো ডট ইউকে’ নামের প্রস্তুতকারক সংস্থাটি গৌরবের সঙ্গেই তাদের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে, রীতিমতো পেশাদারি কেতায় তাদের বিপণনের ওয়েবসাইট চালায়।
সংস্থার ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, অন্যান্য জন্তুর চামড়ার মতোই তাঁরা ব্যবহার করেন মানুষের চামড়াকে। যথাযথ ট্যানিংয়ের পরেই তাঁরা ব্যবহার করেন মানব-ত্বক। মানুষের চামড়া যে সর্বোচ্চ মানের গ্রেন লেদার, সেকথা তাঁরা গর্বের সঙ্গে বলেন। এর পরেই প্রশ্ন আসে, এই চামড়া তাঁরা জোগাড় করেন কোথা থেকে। এ ব্যাপারেও স্পষ্ট জবাব রয়েছে সংস্থার তরফে। তাঁরা জানিয়েছেন, যে সব ব্যক্তি মৃ্ত্যুর আগে ত্বক দানের কথা ইচ্ছাপত্রে বলে য়ান, তাঁদের চামড়া থেকেই তৈরি হয় এই সব সামগ্রী। পিঠ ও পেটের চামড়াই যে এই সব পণ্য তৈরির জন্য সর্বোৎকৃষ্ট, তা-ও জানাচ্ছে সংস্থা। তাঁদের বক্তব্য, মানুষের চামড়ার এ ধরনের ব্যবহার অতীতেও ছিল। এককালে অ্যানাটমির বই মানুষের চামড়া দিয়েই বাঁধানো হতো।
মানুষের চামড়ায় পণ্য তৈরি কিন্তু বেআইনি নয়। কারণ জীবন্ত মানুষের গা থেকে তো আর ছাল ছাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে না! তবে মানব-চামড়ার পণ্য বেশ দামি জিনিস। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা খুব কম পরিমাণেই এই সব পণ্য তৈরি করেন। কারণ তাঁরা জানেন, মানুষের চামড়ায় তৈরি বেল্ট পরতে অথবা মানিব্যাগ ব্যবহার করতে খুব কম মানুষই রাজি হন।
মন্তব্য চালু নেই