ঘরে হাজার কোটি টাকা, কিন্তু ভাবখানা ভিখারির! এই খবর পড়লে চমকে যাবেন

সাদামাটা ব্যাবসায়ী বলেই এলাকায় পরিচিত। ব্যবসায় যে খুব পসার রয়েছে এমনটাও কেউ কোনওদিন বলেননি। কারণ, মহেশ শাহ নামে আমদাবাদের এই বাসিন্দা রোজ যাতায়াত করতেন অটোতে চেপেই। প্রায়শই অন্যের কাছে টাকা ধার চাইতেও দেখা যেত মহেশকে। মহেশের দাবি ছিল, ব্যবসা করে কোনওমতে তিনি ৪ বেডরুমের ফ্ল্যাটটা কিনেছিলেন। কিন্তু, নোটবাতিলের বাজারে মহেশের সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ জানতে পেরে প্রতিবেশীদের মূর্চ্ছা যাওয়ার পরিস্থিতি। কারণ, দিন এনে দিন খাওয়া লোকের কেতায় থাকা মহেশ শাহ জানিয়েছেন, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৩,৮৬০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্ট্রাল ইনকাম ডিক্লারেশন স্কিম বা আইডিএস-এর আওতায় এই বিপুল সম্পত্তির বয়ান দাখিল করেছেন মহেশ।

গত ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহেশের বিজনেস পার্টনার চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট তেহমুল সেটনার-এর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চলে। সেই সময়ে মহেশের এই বিপুল সম্পত্তির হিসেব সামনে আসে। যদিও, এই তল্লাশির কয়েকদিন আগে থেকেই সপরিবারে নিখোঁজ বছর সাতষট্টির মহেশ। ফি বছর আইটি রিটার্নে যদিও মহেশ দেখিয়েছিলেন, বছরে তাঁর আয় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা। মহেশের বিজনেস পার্টনার তেহমুল জানান, তাঁর অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশি চালায় আযকর দফতর। সেই সময়ে ২৯ নভেম্বর শেষবারের মতো মহেশের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল।
কি করেন মহেশ? গুজরাট, মুম্বই এবং পুণেতে জমি দালালির ব্যবসা করেন মহেশ। গত সেপ্টম্বরে কেন্দ্রীয় সরকারের আইডিএস প্রকল্পে নিজের হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তি খতিয়ান দেন। এর ভিত্তিতে ৪৫ শতাংশ আয়কর ধার্য করা হয়। প্রথম কিস্তি হিসাবে ২৫ শতাংশ কর অর্থাৎ ১৫৬০ কোটি টাকা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মহেশকে জমা করতে হতো। কিন্তু, সমস্ত দিক বিচার করে ২৮ নভেম্বর আয়কর দফতর মহেশের দাখিলনামা বাতিল করে দেয়।

যদিও, আয়কর দফতর জানিয়েছে আইডিএস-এ দেওয়া মহেশের তথ্যের সঙ্গে এই তল্লাশির কোনও যোগ নেই। তাঁদের দাবি, গুজরাটে কালো টাকার লেনদেনের এক সূত্র ধরে মহেশের এক বিজনেস পার্টনারের বাড়িতে তল্লাশি হয়। সেখান থেকে হিসাব-বহির্ভূত ৪০ লক্ষ টাকা এবং ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের গয়না আটক করা হয়। সেই সময়ে মহেশের বিপুল সম্পত্তির কথা প্রকাশ পায়।

কিন্তু, মহেশ এখন কোথায়? কেউ কিছু বলতে পারেছেন না। মহেশের বন্ধু তথা বিজনেস পার্টনার তেহমুল জানিয়েছেন, মহেশের ছেলে ৩২ বছরের মনিতেশ মুম্বইয়ে থাকেন। কিন্তু, তাঁর কোনও ঠিকানা তাঁর জানা নেই বলেই জানিয়েছেন তেহমুল।



মন্তব্য চালু নেই