রোহিঙ্গা ঠেকাতে চট্টগ্রামের দুই প্রবেশদ্বারে বাড়তি সতর্কতা
চট্টগ্রাম মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ দুই প্রবেশদ্বারে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এই সতর্কতা জারি করেছে বলে জানান সিএমপির কমিশনার ইকবাল বাহার।
মঙ্গলবার বিকালে গণমাধ্যমে এ সতর্কতা জারির কথা জানান সিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, সীমান্তে বিজিবির কড়া পাহারা সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে প্রবেশ করা এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। যেখান থেকে চট্টগ্রাম মহানগরেও প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে রোহিঙ্গারা যাতে ঢুকতে না পারে সে জন্য নগরীর দুটি স্পর্শকাতর প্রবেশদ্বারে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইকবাল বাহার বলেন, রোহিঙ্গা প্রবেশপথ হিসেবে নগরীর শাহ আমানত সেতু ও কালুরঘাট সেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি পথে সার্বক্ষণিক চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। রোহিঙ্গারা কোনোভাবেই যাতে নগরীতে আসতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ফোর্সও পাঠানো হয়েছে।
কমিশনার বলেন, শাহ আমানত সেতুর দুই প্রান্তে কর্ণফুলী থানা ও বাকলিয়া থানার পৃথক চেকপোস্টে সাতজন করে অতিরিক্ত সদস্য দেয়া হয়েছে। কালুরঘাট সেতুর উত্তর প্রান্তে চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকায় পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্টেও সাতজন অতিরিক্ত সদস্য দেয়া হয়েছে।
এর বাইরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আকবর শাহ থানার সিটি গেইট, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন মোড়, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকায়ও পুলিশকে সতর্ক থাকার জন্য বলেছেন সিএমপি কমিশনার।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর অভিযান চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর বর্বর নির্যাতনের খবর আসছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। নির্যাতিত রোহিঙ্গারা পালিয়ে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে কিছু রোহিঙ্গাকে জায়গা করে দিলেও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। তবে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বজায় রেখেছে।
মন্তব্য চালু নেই