‘ভয়ে আমার চুল দাঁড়িয়ে গেল’
ওপরের ছবিটি তুলেছেন এক নারী ফটোগ্রাফার। মাদাগাস্কারের ন্যাশনাল পার্কে গিয়েছিলেন জুলিয়া সান্দুকোভা। এই নীরব ছিমছাম প্রকৃতির মাঝে যে নিশ্চিত মৃত্যু লুকিয়ে আছে তা তিনি মোটেও ঠাওর করতে পারেননি। ছবিটি মনোযোগের সঙ্গে দেখে আপনিও পারবেন না।
ছবিটি দেখুন। এখানে কোনো বন্য প্রাণীর অস্তিত্ব নেই। কাজেই জুলিয়া এখানে ঝুঁকিমুক্ত। কিন্তু তিনি যখন ছবি তোলায় মগ্ন, তখন মানুষখেকো এক দানব ঠিকই তাকে লক্ষ করে যাচ্ছিল।
একসময় বিষয়টি ধরে ফেললেন ৩৭ বছর বয়সী রাশিয়ান ফটোগ্রাফার। ছবি তুলে যখন ক্যামেরায় আবারো দেখতে গেলেন, তখন ভয়ে সিঁটকে গেলেন তিনি। বললেন, ভয়ে আমার চুল দাঁড়িয়ে গেল। ওটা একটা বিশাল সাইজের কুমির। চুপচাপ কচুরিপানার মধ্যে দৃষ্টির আড়ালে অবস্থান নিয়েছে।
ওটা ছিল একটি নাইল ক্রোকোডাইল। মানুষ নিধনের ক্ষেত্রে এটাকে অন্যতম মারাত্মক প্রাণী বলে বিবেচনা করা হয়। এরা দৈর্ঘ্যে ১৬ ফুট ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। সাব-সাহারিয়ান আফ্রিকার ডোবা-নালা, নদী এবং লেকে ঘুরে বেড়ায়। এর আগে অনেক মানুষকে আক্রমণ করার এবং মেরে ফেলার রেকর্ড রয়েছে এই কুমিরের।
২০১৫ সালের মার্চ জিম্বাবুয়ে এবং জাম্বিয়ার মাঝামাঝি জাম্বেজি নদীতে নৌকা ভ্রমণ উপভোগ করছিলেন এক দল ব্রিটিশ পর্যটক। হঠাৎ তারা দেখলেন একটি নাইল ক্রোকোডাইল একটি মানুষকে খাচ্ছে। নৌকা কাছে যেতেই দেখা গেল, ইতিমধ্যে সে মানুষটি দেহের ওপরের অংশ সাবাড় করে পায়ের অংশ শুরু করেছে।
সূত্র : ডেইলি মেইল
মন্তব্য চালু নেই