শোয়ার আগে যা খেলে লিভার সক্রিয় থাকে!
দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল লিভার (যকৃৎ)। আমাদের শরীরের বিপাকীয় কার্যাবলীর জন্য লিভারই দায়ী।
গবেষকের মতে, লিভারের রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়। কেননা লিভারের যেকোনো রোগ সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না। রোগ বেড়ে গেলে এর লক্ষ্মণ প্রকাশ পায়।
লিভারে সমস্যা দেখা দিলে আপনি ডান দিকের উপরের পেটে এলাকা জুড়ে ব্যথা অনুভব করতে পারেন, অথবা আপনি ঘন অ্যাসিড রিফ্লাক্স অনুভব করতে পারেন। আপনার ঘাম বেড়ে যাবে এবং হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাবে।
এছাড়া অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, মদ্যপান, ধূমপান ইত্যাদি লিভারের ক্ষতি করে। আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখলে বোঝা যাবে লিভারে সমস্যা হচ্ছে যেমন : বারবার বমি হওয়া, ফেকাসে পায়খানা, খাওয়ার পর মুখে তেতো ভাব, পিত্তে সমস্যা, চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়ার পর পেট ব্যথা, চোখের ওপরে ব্যথা, টানা অবসন্নতা, অর্শ্বরোগ এবং স্থায়ীভাবে বর্ধিত শিরা।
যদি প্রাথমিকভাবে এই লক্ষণগুলো ধরা পরে তাহলে চিন্তার কিছু নেই, রাতে ঘুমানোর আগে কিছু খাবার এ রোগ থেকে সহজেই আপনাকে মুক্তি দিতে পারে।
তাহলে দেরি কেন? আসুন জেনে নিই কী সেই খাবার?
লেবুর গরম পানি : অন্যান্য খাবারেরত তুলনায় কুসুম গরম পানিতে লেবু চিপে খাওয়ার অভ্যাস লিভারে অনেক বেশি এনজাইম উৎপাদনে সহায়তা করে, এছাড়াও ভিটামিন সি গ্লুটেথিয়ন নামক যে এনজাইম উৎপন্ন করে তা লিভারের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
তাই অন্যান্য পানীয়ের চাইতে সকালে ঘুম থেকে উঠে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে সামান্য লেবু চিপে পান করুন। এতে করে লিভার পরিষ্কার থাকবে।
গ্রিন-টি : গ্রিন টিয়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের ফ্রি সার্জিকেল টক্সিসিটি দূর করে এবং আমাদের লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ১-২ কাপ গ্রিন-টি পান করার ফলে লিভারে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়ে যায় এবং পুরো দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়।
রসুন : রসুনে রয়েছে সালফারের উপাদান যা লিভারের এঞ্জাইমের সঠিক কাজে সহায়তা করে। এছাড়াও রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন ও সেলেনিয়াম যা লিভার পরিষ্কারের পাশাপাশি লিভারের সুস্থতা নিশ্চিত করে। তাই খাবারে প্রতিদিন রসুন ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
হলুদ : লিভারের সবচেয়ে পছন্দের খাদ্য উপাদান হলুদ। হলুদ একটি নিরাময় ওষুধ হিসেবে বিবেচিত। এলিভারের ডিটক্স এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে, লিভারকে পরিষ্কার করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে সেইসঙ্গে আমাদের ইমিউন সিস্টেম এর জন্য ব্যবহার করা হয় হলুদ। এটা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।
আপেল : পেক্টিন নামক এক প্রকার উপাদান রয়েছে আপেলে। যা শরীরের খারাপ উপাদানগুলো দূর করে ও পরিপাকতন্ত্রকে টক্সিনমুক্ত করে। লিভারকেও টক্সিনমুক্ত করার কারণে, লিভার সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
সবুজ শাকসবজি : লিভারকে পরিষ্কার ও সক্রিয় রাখার ক্ষেত্রে সব থেকে ভাল খাবার হল সবুজ শাকসবজি। সবুজ শাক রান্না করে বা জুস করে খেতে পারেন। এটিতে রক্তের টক্সিন মুক্ত রাখার উপাদান রয়েছে।
লিভারকে সুস্থ রাখতে উপরের খাবারগুলো রাতে ঘুমানেরা আগে গ্রহণ করুন। আপনাকে হতাশ হতে হবে না, অবশ্যই ইতিবাচক ফল পাবেন।
মন্তব্য চালু নেই