বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করায় তুলকালাম কাণ্ড

বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সোমবার। কিন্তু প্রেমিক পাত্রের কোনও হদিশই নেই। বাধ্য হয়ে বিয়ে করার দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে এসে ধর্নায় বসল কলেজ ছাত্রী এক প্রেমিকা। সান্ত্বনা রায় নামে ওই কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে সিভিক ভলান্টিয়ার প্রেমিক।

রবিবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেল পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর এলাকায়। দুই পরিবারের মধ্যে রীতিমতো মারামারি শুরু হয়ে যায়। সোমবারও সকাল থেকেই চলছে হই–হট্টগোল। রাতভর ধর্নায় থাকার পর এলাকার প্রায় ২৫০ মহিলা মেয়েটির পাশে থেকে একরকম জোর করে তাকে ঢুকিয়ে দেয় ছেলের বাড়িতে। মেয়েটির সম্পূর্ণ দেখভাল করতে হবে বলেও শাসিয়ে যান তারা। জলপাইগুড়ি প্রসন্নদেব মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সান্ত্বনা বাড়ি পাহাড়পুরে। সিভিক ভলান্টিয়ারে কর্মরত তার প্রেমিক ধীরাজ দেবনাথের বাড়িও পাহাড়পুরেরই হাকিমপাড়া এলাকায়।

সান্ত্বনার দাবি, ৬ বছর ধরে রয়েছে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের জেরে গত ৩ মাস আগে তাকে নিয়ে নিজের দিদির বাড়ি রানীনগরে পালিয়ে গিয়েছিল ধীরাজ। সেখানে ৮ দিন ধরে একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন তারা। এরপর দু’‌জনেই বাড়িতে ফিরে এলে বিষয়টি নিয়ে গ্রামে একটি সালিশিসভা বসে। সালিশিসভায় ছিলেন প্রতিবেশী দুই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যরাও। সেখানেই ঠিক হয় ৩ মাস পর বিয়ে দেওয়া হবে দু’‌জনের।

ধীরাজের পরিবারের লোকেরাও জানান, সামাজিক মতে দু’‌জনের বিয়ে দিয়ে ঘরে তোলা হবে তাকে। সেই অনুযায়ী ফর্ম ফিলাপ করে জমা দেওয়া হয় রেজিস্ট্রি অফিসে। যদিও তারপর থেকেই পাহাড়পুর এলাকা ছেড়ে আচমকা উধাও হয়ে যায় ধীরাজ। সান্ত্বনার অভিযোগ, ধীরাজ তার পরিবারের লোকেদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলেও বাড়িতে ফিরছে না ৩ মাস ধরে। তাই অবিলম্বে তাকে বিয়ে করার দাবি নিয়ে রবিবার রাত থেকেই ধীরাজের বাড়িতে এসে ধর্নায় বসে পড়ে সান্ত্বনা। সোমবারও তিনি একইভাবে ধর্নায় বসে থাকেন।

তার একটাই দাবি, ধীরাজ এসে তাকে যতক্ষণ না বিয়ে করছে, ধর্না থেকে উঠবেন না তিনি। সান্ত্বনাকে সমর্থন করে তার বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীরাও এসে ভিড় জমান সেখানে। এদিকে, এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষিপ্ত ধীরাজের পরিবারের লোকেরা। রাতেই দুই পরিবারের মধ্যে রীতিমতো মারামারি বেদে যায় প্রেমিকের বাড়ির সামনে। অসংখ্য মানুষের ভিড় জমে যায় সেখানে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। তবে সান্ত্বনা সাফ জানিয়ে দেন, বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত ধীরাজের বাড়ি থেকে সরছেন না তিনি।‌‌‌‌ আজকাল



মন্তব্য চালু নেই