ছেলে হোন বা মেয়ে, ত্বক পরিষ্কার রাখতে আপনাকে যা জানতেই হবে
মুখ পরিষ্কার নিয়ে তেমন কোনও মাথাব্যথা অনেকেরই থাকে না। অনেকে রূপ নিয়ে তেমন ভাবেনও না। হাতের কাছে যা পান তাই দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলেন। তবে মুখ পরিষ্কারের সঠিক জিনিসটা বেছে নিচ্ছেন তো? ত্বকের বিষয়ে যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। তাই পরিষ্কার করতে যাই ব্যবহার করুন না কেন, জেনে রাখুন এই বিষয়গুলি –
সাবান ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক : সাবানের মধ্যে থাকা রাসায়নিক দ্রব্য ত্বকের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। বিশেষ করে সেন্সিটিভ ত্বক হলে দেখা দিতে পারে অনেক সমস্যা। বিশেষ করে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, হারাতে পারে উজ্জ্বলতা। তাই ত্বক পরিষ্কার করার জন্য সাবানের বদলে বেছে নিন ফেসওয়াশ।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসওয়াশ : ফেসওয়াশ কেনার আগে আপনার ত্বকের ধরন জেনে নিন। সবরকম ত্বকের জন্য ফেসওয়াশ এক হয় না। অয়েলি ত্বকের জন্য এমন ক্লিন্জ়ার প্রয়োজন যা ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলেভাব দূর করবে। অন্যদিকে রুক্ষ শুষ্ক ত্বকের জন্য যত্ন সহকারে ফেসওয়াশ বেছে নিতে হবে।
মুখ পরিষ্কার করার আগে হাত পরিষ্কার : আপনার হাতে যদি ময়লা থাকে তবে মুখেও সেই ময়লা লেগে থাকবে। ত্বক পরিষ্কার হওয়া তো দূরের কথা, তাতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই সবার প্রথমে দরকার হাত ভালো করে জীবাণুমুক্ত করা।
একবার নয়, মুখ ধুয়ে নিন কয়েকবার : ব্রাশ করা, হাত-মুখ পরিষ্কার করা এসব রোজকার ব্যাপার। কিন্তু ত্বকের দরকার বাড়তি যত্ন। তাই ত্বক পরিষ্কার রাখতে একবার নয়, সারাদিনে বেশ কয়েকবার মুখ পরিষ্কার করে নিন। তাতে ত্বকের রোমকূপগুলো পরিষ্কার থাকবে। কোনওরকম ব্রণ বা ফুসকুড়ির ভয় থাকবে না।
ত্বক পরিষ্কার রাখতে অলসতা নয় : শুধু মুখ পরিষ্কার করলেই তো হবে না। সেইসঙ্গে ত্বকের দরকার ডিপ ক্লিন্জ়িং। ক্লিন্জ়ার ব্যবহারে ত্বকের রোমকূপগুলো খুলে যায়, ভিতরে জমা সব ময়লা বেরিয়ে আসে সহজে। তাই সারাদিনের দৌড়ঝাপের পরও নিজের জন্য সময় বের করে নিন। সারাদিনে অন্তত একবার ক্লিন্জ়ার লাগিয়ে নিন। কয়েক মিনিটের এই ট্রিটমেন্ট ভালো ফল দেবে।
ত্বক পরিষ্কারে সঠিক পানি : বেশি ঠান্ডা পানিতে মুখ পরিষ্কার না করাই ভালো। তাতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই হালকা হালকা গরম পানিতে মুখ পরিষ্কার করুন।
ত্বকের উপর বেশি ঘষাঘষি নয় : মুখের চামড়া নরম ও সেন্সিটিভ হয়। তাই ত্বক পরিষ্কার করতে বেশি ঘষাঘষি এড়িয়ে চলুন। আলতো করে ত্বক পরিষ্কার করে নিন।
মুখ পরিষ্কার করার পর ময়েশ্চারাইজ়ার : ফেসওয়াশ আর ময়েশ্চারাইজ়ার একে অপরের পরিপূরক। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর ত্বকের দরকার ময়েশ্চারাইজ়ার। নয়তো ত্বকে শুষ্কভাব দেখা দিতে পারে। তাই যতবার মুখ পরিষ্কার করুন না কেন, ত্বকে ময়েশ্চারাইজ়ার লাগানো দরকার।
মন্তব্য চালু নেই