পুরনো দিনগুলো মনে পড়ছে আশরাফুলের
বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়দের একজন মোহাম্মদ আশরাফুল। কিন্তু নিজের প্রিয় খেলা থেকে নির্বাসিত থাকতে হয়েছে ২০১৩ সাল থেকে। এখন যদিও ফিরেছেন, তবে সেটাতেও আছে ‘সীমাবদ্ধতা।’ শুধু মাত্র জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলার দরজা খুলেছে তার জন্য। এরইমধ্যে মাঠেও নেমেছেন অ্যাশ। পরে বিপিএলের ডামাডোলে লিগ বন্ধ থাকলেও ঘরে বসে নেই তিনি।
ফিটনেস ধরে রাখার লড়াইটা চলছেই। তারই অংশ হিসেবে শনিবার আশরাফুল অনুশীলন করেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে। রোববার জানালেন, সময়-সুযোগ পেলেই যুবদলের সঙ্গে অনুশীলনে নেমে যাবেন। ঝালিয়ে নেবেন নিজেকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মতো ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টে আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও দেশের অন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে বর্তমানে খেলতে কোনো বাধা নেই এই অলরাউন্ডারের। বাধা নেই নিজের ইচ্ছা মতো যেকোনো দলের সঙ্গে অনুশীলনের ক্ষেত্রেও। গত অক্টোবরেই ঢাকা মেট্রোর হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের দুটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
কেবল ঘরোয়া লিগের ম্যাচ খেলে সন্তুষ্ট নন টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক। আর তাইতো ব্যাট-প্যাড নিয়ে নেমে পড়েন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে অনুশীলনে। বিসিবির একাডেমি মাঠে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অনুশীলন করেছেন বোলিংটাও।
যুব দলের সঙ্গে অনুশীলন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে ৬১ টেস্ট ও ১৭৭টি ওয়ানডে খেলা এই ক্রিকেটারের রোববার কথা হলো সঙ্গে। বললেন, ‘গতকালই (শনিবার) শুধু অনুশীলন করেছি। ভালো লেগেছে। নিজের পুরনো দিনগুলোর কথা মনে পড়েছে। এই দলে তো একসময় আমিও খেলতাম।’
আশরাফুল যোগ করেন, ‘যখনই সময় পাবো, ওদের সঙ্গে অনুশীলন করবো বলে ঠিক করেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যস্ততার কারণে হয়তো সবসময় সুযোগ হয়ে উঠবে না।’
কেবল অনুশীলনই নয়; চলতি মাসের ২৬ ও ৩০ তারিখ যুব দলের বিপক্ষে অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলারও কথা ছিল আশরাফুলের। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। এর পেছনের কারণটাও অবশ্য সেই ক্রিকেটীয় ব্যস্ততাই।
যেমনটা আশরাফুল বললেন, ‘১৮ তারিখ নারায়ণগঞ্জ প্রিমিয়ার ডিভিশনে রাইফেল ক্লাবের হয়ে খেলব। এছাড়া সিরাজগঞ্জ লিগের ম্যাচ খেলব ২৬ তারিখ। তাই যুবদলের বিপক্ষে খেলার ইচ্ছা থাকলেও সেটা আপাতত পূরণ হচ্ছে না।’
যে ফিটনেস ধরে রাখার জন্য নিষেধাজ্ঞার বোঝা মাথায় নিয়েও এত ব্যস্ততা, সেটি নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট আশরাফুল। তিনি বললেন, ‘নিজের ফিটনেসের ব্যাপারে এখন আমার অন্তত কোনো সন্দেহ নেই। এটার জন্য যে সাধনা করেছি তা বিফলে যায়নি।’
কেবল ফিটনেস ধরে রেখেই অবশ্য সন্তুষ্ট নন আশরাফুল। আন্তর্জাতিক ও ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেটে তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ এখনো উঠে যেতে বাকি। এর আগেই নিজের প্রতিভাকে ফের মেলে ধরতে চান। বিপিএলের চলতি আসরের পর এনসিএল, প্রিমিয়ার লিগ, বিসিএলের মতো আয়োজন আছে। সেখানে ভালো কিছু করে নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই এখন টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের একমাত্র লক্ষ্য।
মন্তব্য চালু নেই