আ.লীগ দয়া করলে নির্বাচনে ১০ আসন পাবে বিএনপি

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আমরা দয়া করে ২, ৪/১০টা আসন দিলে আপনারা পেতে পারেন।

শনিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক বাতিল হলো। অথচ তাদের পাঁচজন কর্মী রাস্তায় ভয়ে দাঁড়াতে পারলো না। তারাই আবার আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখায়।

‘বিএনপির সাবেক চিপ হুইফ জয়নাল আবেদিন ফারুক পুলিশের ভয়ে কাপড় ফেলে দৌড়ে পালিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ নাসিম ও মতিয়া চৌধুরী মার খেয়েও রাস্তায় শুয়ে ছিলেন।এটাই আন্দোলন। ছাত্রলীগের পাঁচজন রাস্তায় নামলে ভয়ে দৌড়ে পালাবেন। আর আপনারা আন্দোলন করে সরকার পতন ঘটাবেন?’ কুপি জ্বালিয়ে সূর্যের সামনে দাঁড়িয়ে সূর্যকে আলো দেখানো হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। সুতরাং আন্দোলনের মাধ্যমে যে দলের জন্ম তাদের আন্দোলনের ভয় দেখানোও হাস্যকর ছাড়া কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, এ অঞ্চলের অনেকেই আছেন যারা রাতের অন্ধকারে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা সঠিক পথে ফিরে আসুন। আগামী নির্বাচনে দল যাকে সমর্থন দিবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনার আদেশ অমান্য করে আত্মীয় স্বজনদের পক্ষে কাজ করা যাবে না।

অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত নেতা আব্দুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বিশ্বাস করে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা রক্ষায় দায়িত্ব পালনের জন্য আমি আমার জীবন উৎসর্গ করলাম।

এই মধুখালির মানুষ যারা আমাকে বুকে ধারণ করেছে আমি আস্থার সঙ্গে বলতে পারি তাদের সন্তানকে তারা ছুঁড়ে ফেলবে না। সেই মুধখালির মানুষকে সাক্ষী রেখে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করলাম।

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা এই ফরিদপুর অঞ্চল থেকে অনেককেই ছাত্রলীগের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাবে তাদের অনেকেই বেঈমানী করেছে। একমাত্র আব্দুর রহমান যিনি দলের ক্রান্তিকালেও শেখ হাসিনার আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন।

এর আগে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ। জেলার ঢাকা যশোর রাস্তার বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয় তোরণ। সাটানো হয় বিলবোর্ড ফেস্টুন ও পোস্টার। ফরিদপুরের সন্তান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধরণ সম্পাদক আবদুর রহমান ঢাকা থেকে সড়ক পথে নিজ জেলার প্রবেশ করলে রাস্তার দুই পাশে নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। এসময় তারা ট্রাকে করে
বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে হাজির হয়। মোড়ে মোড়ে ফুল ছিটিয়ে তাকে স্বাগত জানায়।

সংর্বধনা অনুষ্ঠানে শেষে সেখানে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সংসদ সদস্য মমতাজ বিশিষ্ট শিল্পীরা সংগীত পরিবেশেন করে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দিলিপ রায় প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই