সিরাজগঞ্জে এমপি পুত্রসহ ৮ নেতাকর্মীর জামিন
সিরাজুল ইসলাম শিশির, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হকের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ম. ম আমজাদ হোসেন মিলনের ছেলেসহ ৮ নেতাকর্মীকে জামিন দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক শরিফুল ইসলাম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
তারা হলেন, রায়গঞ্জ-তাড়াশ আসনের সংসদ সদস্য ম.ম আমজাদ হোসেন মিলনের বড় ছেলে জাকির হোসেন জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম লাবু, তার ভাই লেবু খাঁ, তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম রব্বানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক রজত ঘোষ, আওয়ামীলীগ নেতা শাহিনুর ইসলাম, রাজীব, শরীফ ও আব্দুল হালিম।
সিরাজগঞ্জ তাড়াশ কোর্টের জিআরও জাহিদুল ইসলাম জাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর সকালে তাড়াাশে মাসিক আইন শৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হকের সমর্থক সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সেখ ও বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন এমপি এবং ওসিকে জড়িয়ে নানা ধরনের বিরূপ মন্তব্য করায় হট্টগোল শুরু হলে মিটিং স্থগিত করা হয়। সংসদ সদস্য মিটিং ত্যাগ করে নিজ বাসায় চলে যায়।
এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক নিজ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠক চলাকালে একদল সন্ত্রাসী উপজেলা চেয়ারম্যানের রুমে হামলা চালিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় (০১ নভেম্বর) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের ভাগ্নে ও তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল শেখ বাদী হয়ে সংসদ সদস্য গাজী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলন, তার দুই ছেলে জার্জিয়াস মিলন ও জাকির হোসেন জুয়েল, তার ব্যক্তিগত সহকারী মেয়ে জামাতা রবিউল ইসলাম, ছোট মেয়ে জামাতা তাড়াশ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গোলাম রব্বানী সূর্য্য, ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন বিদ্যুৎ ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবেক লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক পিয়াসসহ ১৪ জনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ ওদিন রাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক পিয়াসকে আটক করে। সোমবার এ মামলার ৮ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক শরিফুল ইসলাম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মন্তব্য চালু নেই