সেভিয়া কাঁটা তুলতেও সেই মেসি

স্প্যানিশ লা লিগায় পিছিয়ে পড়েও লিওনেল মেসির কল্যাণে দারুণ এক জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। রোববার রাতে সেভিয়াকে তাদের ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হারিয়েছে কাতালানরা। নিজে একটি গোল করে এবং সুয়ারেজকে দিয়ে অন্যটি করিয়ে ম্যাচের সম্রাট হয়ে থাকেন এমএলটেনই।

ম্যাচের আগে দিনই বার্সাকে হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন সেভিয়া সভাপতি। খেলার শুরুতেও ছাপ দেখা গেল তার। চলতি মৌসুমে উড়তে থাকা সেভিয়া খেলার মাত্র ১৫ মিনিটেই লিড নেয়। কাউন্টার অ্যাটাকে পাবলো গার্সিয়ার ক্রস থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন ভিক্টর পেরেজ।

এক গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সা গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু একের পর এক আক্রমণ করেও কাজ হচ্ছিল না। কিছুটা হতাশায় ডাগআউটে পায়চারি করছিলেন কোট লুইস এনরিক। তবে দলে মেসি আছেন বলে ভরসাও করছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত হলোও তাই। প্রথমার্ধের শেষ দিকে মেসির গোলেই সমতায় ফেরে বার্সা। সেভিয়ার মতোই কাউন্টার অ্যাটাকে গোল পায় কাতালানরা। নেইমারের ক্রস থেকে অসাধারণ ফিনিশিং দেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

প্রথমার্ধ সমতায় শেষ হওয়ার দ্বিতীয়ার্ধেও লড়াই হয় হাড্ডাহাড্ডি। দুদল একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেও কাজের কাজ করতে পারছিল না। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মধ্যে ৬১ মিনিটে গোল পায় বার্সা। মেসির তুলে দেয়া বল থেকে গোল করেন উরুগুয়েন সুপারস্টার লুইস সুয়ারেজ। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।

এই মৌসুমে ঘরের মাঠে সেভিয়ার রেকর্ডটা ভীতি-জাগানিয়া। এই ম্যাচের আগে লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ মিলিয়ে সব ম্যাচেই জিতেছিল হোর্হে সাম্পাওলির দল। এর মধ্যে গোল করেছিল ১৭টি, খেয়েছে মাত্র ৬টি। দুর্দান্ত পাসিং ফুটবলের জন্য কেউ কেউ সেভিয়াকে বলছিল ‘পেপ গার্দিওলার ২০০৯ সালের বার্সেলোনা’।

মেসি মাঠে থাকা অবস্থায় ২০০৭ সালের পর বার্সেলোনা কখনো সেভিয়ার কাছে হারেনি। কাল সেটিই হলো। তাছাড়া বার্সেলোনার জার্সিতে লিগে মেসির সবচেয়ে প্রিয় প্রতিপক্ষ সেভিয়া। এই ক্লাবটির সঙ্গে ২৬ ম্যাচে এ পর্যন্ত বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড গোল করেলেন ২৭টি। লিগে এর চেয়ে বেশি গোল আর কোনো দলের বিপক্ষে নেই বার্সার ‘নাম্বার টেনের’।

এই ম্যাচের আগে এই মৌসুমে নিজেদের মাঠে সেভিয়াকে হারানোর একমাত্র কীর্তিও ছিল বার্সার। স্প্যানিশ সুপার কাপে সেই ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছিল কাতালানরা।

এই জয়ে ১১ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকলো বার্সা। আর ২১ পয়েন্ট নিয়ে সেভিয়ার অবস্থান পাঁচ নম্বরে। সমান সংখ্যক ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।



মন্তব্য চালু নেই