বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘বেড়াল’ হারকিউলিস
হারকিউলিস আসলে একটি ‘লাইগার’, অর্থাৎ সিংহ আর বাঘের সংমিশ্রণ৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তার নাম আছে বিশ্বের বৃহত্তম, জীবন্ত, অ-মেদবহুল মার্জার হিসেবে৷ সেই জীবটি যদি আবার যায় লন্ডন শহরে…!
হারকিউলিসের ওজন ৪১৮ কিলোগ্রাম। সে লম্বায় ৩ মিটার ৩৩ সেন্টিমিটার। দাঁড়ানো অবস্থায় তার কাঁধের উচ্চতা এক মিটার ২৫ সেন্টিমিটার৷ সে হলcf লায়ন (বাবা) আর টাইগার (মা) মিলিয়ে লাইগার৷ লাইগারদের আজকাল মুক্ত প্রকৃতিতে পাওয়ার উপায় নেই৷ এককালে নাকি এশিয়ায় যেমন বাঘ, তেমন সিংহ ছিল। তখন নাকি বনে-জঙ্গলে লাইগারদেরও দেখা পাওয়া যেতো৷
হারকিউলিসের একটি ভাইরাল ভিডিও প্রকাশিত হয় বছর তিনেক আগে৷ তারপর থেকে এ পর্যন্ত কয়েক লক্ষ বার ক্লিক করা হয়েছে৷ তার বাস আজ যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনা রাজ্যের মির্টল বিচ সাফারি ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভে৷ আগে থাকত মায়ামির জাঙ্গল আইল্যান্ড অ্যানিমাল থিম পার্কে৷ অনেকদিন ধরেই সে বিখ্যাত।
তিন বছর বয়সেই তার ওজন দাঁড়িয়েছিল ৪০৮ কিলো। ২০০৫ সালে তাকে টুডে শো, গুড মর্নিং অ্যামেরিকা, অ্যান্ডারসন কুপার ৩৬০ ইত্যাদি শো-তে দেখা গেছে।
ভাইরাল ভিডিও-তে হারকিউলিসকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লন্ডনে। সেখানে প্রথমেই সে বিটলসদের অ্যাবি রোড অ্যালবামের সেই প্রখ্যাত জেব্রাটির উপর ভুঁড়ি পেতে শুয়ে৷ তারপর তাকে দেখা যাচ্ছে একটি লন্ডন ট্যাক্সির পাশে৷
এইভাবেই এই ছোট্ট ভিডিওটিতে হারকিউলিসের সাইজের একটা আন্দাজ দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে৷ একবার সে আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনের প্রবেশমুখে, একবার ব্রিটেনের নিজস্ব লালরঙা টেলিফোন কেবিনের পাশে৷ শেষমেষ ছাদখোলা একটি দোতলা টুর বাস থেকে তাকে মাংসের টুকরো খাওয়ানো হচ্ছে।
এই নেহাৎ ভালোমানুষ হুলোবেড়ালটিকে হিংস্র শ্বাপদ বলে ভাবতেই পারা যায় না। মনে হয় গলা জড়িয়ে ধরে আদর করি৷ হারকিউলিসেরও বোধহয় তা’তে আপত্তি হবে না৷ সে তো আজও বুঝে উঠতে পারেনি, সে বাঘ না সিংহ…।-DW
মন্তব্য চালু নেই