জ্বর-ঠোসা সারানোর প্রাকৃতিক উপায়
জ্বর হলে বা কোন সংক্রমণের কারণে ঠোঁটের কোনে ছোট ফুসকুড়ি উঠে। এই ফুসকুড়ি খুব অস্বস্তিকর ও ব্যথাযুক্ত হয়। একে চলতি ভাষায় জ্বর-ঠোসাবলা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে ফিভার ব্লিস্টার, ওরাল হারপিস বা কোল্ড সোর বলে। হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস (HSV-1) সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে জ্বর-ঠোসা।
যখন কোন মানুষ প্রথম এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তখন কয়েকদিনের মধ্যেই এটি ছড়িয়ে পরে। এর ফলে জ্বর, গলা ব্যথা, শরীরে ব্যথা ও মাথাব্যথার লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রাথমিক ব্রেকআউটের পরেও এই ভাইরাসটি শরীর ত্যাগ করেনা। বরং সে সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায় স্নায়ুকোষে। তাই যেকোন সময়ই এটি আবার বিস্তার লাভ করতে পারে।
স্ট্রেস, হরমোনের উঠানামা, সার্জারি, জ্বর, অসুস্থতা বা সূর্যরশ্মির প্রভাবে উদ্দীপিত হয় এই ভাইরাস। এটি এক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে এবং নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। ব্যথা ও এর ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করার জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়। জ্বর-ঠোসা সারানোর প্রাকৃতিক উপায়গুলোর বিষয়ে জেনে নিই চলুন।
১। দুধ
দুধে ইমিউনোগ্লোবিন এবং এমাইনো এসিড এল-লাইসিন থাকে যা নিরাময় প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে। একটি কটন বল দুধে ভিজিয়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। লাইসিন সাপ্লিমেন্ট বা ক্রিম হিসেবেও পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, লাইসিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে কোল্ড সোর এর প্রাদুর্ভাব প্রতিহত করা যায়।
২। পিপারমেন্ট অয়েল
পিপারমেন্ট অয়েলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান আছে কোল্ড সোর এর ভাইরাসকে ধ্বংস করতে পারে। জ্বর-ঠোসার মধ্যে পিপারমেন্ট অয়েল সরাসরি লাগালে দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে।
৩। অ্যালোভেরা জেল
জ্বর-ঠোসায় আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগালে নিরাময় ত্বরান্বিত হয়। এর অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুনাগুণ জ্বর-ঠোসা নিরাময়ে উপকারী ভূমিকা রাখে।
৪। বরফ
জ্বর-ঠোসার প্রাদুর্ভাব কমাতে পারেনা বরফ, কিন্তু জ্বর-ঠোসায় বরফ ব্যবহার করলে এর প্রদাহ ও অস্বস্তি কমে। অস্থায়ীভাবে ব্যথামুক্ত হতে বরফের টুকরো সরাসরি ফোসকার উপরে লাগান।
৫। জিংক অক্সাইড
জিংক অক্সাইড ক্রিম ফার্মেসীতে পাওয়া যায় এবং কিছু সানস্ক্রিন ক্রিমেও পাওয়া যায় জিংক অক্সাইড। আক্রান্ত স্থানে জিংক অক্সাইড ক্রিম লাগালে চুলকানি ও ঘা কমে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। আক্রান্ত হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই ক্রিম লাগালে প্রাদুর্ভাব ঠেকানো যায়।
মন্তব্য চালু নেই