চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধের সমাপ্তি
সাফাত জামিল শুভ, চবি প্রতিনিধি : প্রশাসনের কঠোর অবস্থান এবং বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। জালিয়াতি চক্রের সদস্যদের ধরতে গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি সাদা পোশাকে মাঠে সক্রিয় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। অন্যদিকে ভর্তিপরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই শ্লোগানে শ্লোগানে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর (রবিবার) থেকে ৩১ অক্টোবর (সোমবার) পর্যন্ত টানা ৯ দিন ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
২৪ অক্টোবর ‘জি’ ইউনিটের অধীন জীববিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় সময় অসাদুপায় অবলম্বনের দায়ে বেলা ১২টার দিকে বিবিএ ফ্যাকাল্টি থেকে সন্দেহভাজন ২ জনকে আটক করা হয়।
২৬ অক্টোবর ‘বি’ ইউনিটের অধীন কলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৮ জনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বদলি পরীক্ষা দিতে আসা মো.ইমরান হোসেন, আরাফাতুল ইসলাম, মো.আমান উল্লাহ,তামিদ মাহমুদ ইমতিয়াজ,বেকিট ত্রিপুরা,শাকিল হোসেন, মুহসিন মিয়া ও জাহিদ হোসেনকে ব্যবসায় প্রশাসন ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়।পরে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়।এদের মধ্যে ইমরান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিভি এন্ড ফিল্ম স্টাডিস ও আমান সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা যায়।
২৭ অক্টোবর সকালে কলা অনুষদের ৪০৬ নম্বর রুম থেকে মোবাইলে প্রশ্নের ছবি তুলে বাহিরে দেয়ার সময়
আলী রাজ চৌধুরী নামের একজনকে আটক করা হয়।
২৯ অক্টোবর সকালে জীব বিজ্ঞান অনুষদের ৫০৫ নম্বর কক্ষ থেকে অভিনব কায়দায় উত্তরপত্র বদলের সময় ভাই-বোনকে আটক করা হয়। জানা যায়, ভাই রমজান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতত্ত্ব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।এবছর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু বোনকে টিকিয়ে দিতে জাল-সনদ তৈরি করে সে। জানা যায়, আইন অনুষদের পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষন পরেই উম্মে হাবিবা ও তার ভাই রমজানুল আলম তারা ওএমআর সিট পরিবর্তন করে। এ সময়ই পরীক্ষা পর্যবেক্ষকের নজরে আসে বিষয়টি। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করার পর তারা স্বীকার করলে প্রক্টরের কাছে সোপর্দ করা হয়। বিকালে প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের সময় অফিসের সামনে সন্দেহজনক গতিবিধি অনুমান করে মাইনউদ্দিন মাহরূফ নামে অপর এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ঘটনাক্রমে সোহেল রানা নামে মূল পরীকল্পনাকারীকে আটক করতে সক্ষম হয় প্রশাসন। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ থেকে পাস করে ৩৫ বিসিএস (প্রশাসনিক) ১৩৯ তম স্থান অধিকারী এবং ৯ম তম জুডিশিয়াল সম্ভাব্য ম্যাজিস্ট্রেট বলে জানায় সে। প্রায় ঘন্টাখানিক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সোহেল স্বীকার করে সে ভর্তি জালিয়াতির সাথে জড়িত।
মন্তব্য চালু নেই