জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে
হাজীগঞ্জে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী
হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) সংবাদদাতা : যেখানে বর্তমান সরকার বাল্যবিয়েকে লাল কার্ড দেখিয়েছে এবং বাল্যবিয়ে মুক্ত বাংলাদেশ ঘোষনা করার পরিকল্পনা করছেন, ঠিক সে সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় বাল্যবিয়ে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যা সরকারের পরিকল্পনাকে ব্যাস্তে দিচ্ছে।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসকে আব্দুস সবুর মন্ডল এর হস্তক্ষেপে জাল জন্ম নিবন্ধন ধারা বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের মৈশাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ও মৈশাইদ গ্রামের সরদার বাড়ীর প্রবাসী নুরুল ইসলাম এর মেয়ে ফেরদোসী আক্তার (জান্নাতুল) । এ বিষয়ে গত বৃস্পতিবার কয়েক’জন গণমাধ্যম কর্মী সরেজমিনে গিয়ে বিয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে ছাত্রীর পরিবার একটি জাল জন্ম নিবন্ধন দেখায়। অনলাইনে চার্জ দিয়ে দেখা গেছে এ নিবন্ধনের কোন অস্তিত্ব নেই। এটি কম্পিউটারে তৈরি কার একটি জাল জন্ম নিবন্ধন। এছাড়া জাল সনদের মধ্যে দেখা গেছে লিঙ্গ নারীর স্থানে পুরুষ।
এদিকে ছাত্রীর পরিবার গণমাধ্যম কর্মীদের নগদ অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়। গণমাধ্যম কর্মীরা ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসীকে অনুরোধ করে বলেন, এ বাল্যবিয়ে আপনারা বন্ধ করুন। তা না হলে আপনার আইনি জামেলায় পড়বেন। ছাত্রীর পরিবার আইনকে তোয়াক্বা না করে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে রাতে গায়ে হলুদ দিয়ে বাল্যবিয়ে সমপূর্ন করার লক্ষে এগিয়েছিল।
বিষয়টি হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম মজুমদারকে অবহিত করলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটির বয়স আঠার বছর অতিক্রম হয়েছে। তাই এ বিয়ে আইনি ভাবে হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় গণমাধ্যম কর্মীরা শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডলকে বিষটি অবগত করলে, তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। দুপুরে পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়।
হাজীগঞ্জ থানার এস আই মোঃ শাহজান জানান, আমি নির্দেশ পেয়ে ঘটস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে পরিবারের উদ্যেশে বলেছি পরবর্তিতে এ বিয়ে হলে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম (এল.এল.বি) বাল্যবিয়ে বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মন্তব্য চালু নেই