স্বপ্ন ছিল, সংসারের হাল ধরার! ইচ্ছেপূরণ হল না সায়নীর

চারজনের মধ্যবিত্ত সংসার। বাবা সুমিত মুখোপাধ্যায় শ্যামবাজারে সিডি-ক্যাসেটের দোকানের কর্মী।

সেই সংসারের হাল ধরবেন বলেই স্বপ্ন দেখেছিলেন কন্যা সায়নী। শুরু করেছিলেন নতুন চাকরি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ‘অ্যাসোসিয়েট ট্রেনি’ হিসাবে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসে যোগ দেওয়ার খবর ‘শেয়ার’ও করেছিলেন ফেসবুকে। আর সোমবারই ছিল তাঁর প্রথম নাইট শিফ্‌ট! সেই রাতেই দুর্ঘটনা।

বাগবাজারে ২১ই, হরলাল মিত্র স্ট্রিটের বাসিন্দা সায়নী। বাবা-মা এবং বোনকে নিয়েই ছিল তাঁর বৃত্ত। পড়াশোনার পাশাপাশি গড়িয়াহাটের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতে শুরু করেছেন সায়নীর বোন সৌমিতাও। তাঁর কথায়, ‘‘দিদি ছিল আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। নতুন চাকরি নিয়ে ওর অনেক স্বপ্ন ছিল। আমাদের সংসার নিয়েও অনেক কিছু ভেবেছিল ও।’’

সাউথ ক্যালকাটা গার্লস কলেজ থেকে জিওলজি’র স্নাতক সায়নী। পড়াশোনার সুবিধার জন্য আগে বেহালায় থাকতেন তিনি। চাকরি পাওয়ার পর থেকে বাগবাজারের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।

আত্মীয়েরা জানাচ্ছেন, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিলেন সায়নী। মুখে হাসি ছিল সবসময়। মিশুকে হওয়ায় আত্মীয় থেকে বন্ধুমহল, সর্বত্রই ছিলেন জনপ্রিয়। অবসর সময়ের অনেকটাই কাটত বাগবাজারে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে।

বন্ধুমহল জানাচ্ছে, সাজতে খুব ভালোবাসতেন তাঁদের ‘শান’। ভালবাসতেন সুন্দর ফ্রেমের চশমা পড়তে। পরীক্ষানিরীক্ষা করতেন ‘হেয়ারস্টাইল’ নিয়ে। বন্ধু শুভশ্রী বলেন, ‘‘শান আমাদের বন্ধুদের মধ্যে সকলের প্রিয় ছিল। খুব মিশুকে। খুব আড্ডা দিত। সকলকে নিয়েই চলতে ভালবাসত। কাজের চাপ যতই থাকুক, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত।’’



মন্তব্য চালু নেই