পাকিস্তানের গৌরবময় ৪০০তম টেস্ট

৬৪ বছর আগের কথা। ১৯৫২ সালে ১৬ অক্টোবর। নয়া দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় টস করতে নামলেন লালা অমরনাথ এবং আবদুল কারদার। ইতিহাস সৃষ্টি হলো সেদিন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে নবীনতম সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হলো পাকিস্তানের। ওই টেস্টে পাকিস্তান হেরে গিয়েছিল এক ইনিংস ও ৭০ রানের ব্যবধানে।

নবীনতম দেশ হিসেবে দ্রুত জয় পেতেও অপেক্ষা করতে হয়নি পাকিস্তানকে। লক্ষ্মোউতে পরের টেস্টেই স্বাগতিক ভারতকে ইনিংস ও ৪৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দিল পাকিস্তান। এর পরের টেস্টে আবার ১০ উইকেটে জিতলো ভারত। পরের দুই টেস্ট ড্র। ৫ ম্যাচের সিরিজ ভারত জিতলো ২-১ ব্যবধানে।

টেস্ট ক্রিকেটে পথচলা শুরু করার পর দেখতে দেখতে ৬৪টি বছর পার করে ফেললো পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, দেখতে দেখতে ৪০০তম টেস্টও খেলতে নেমে গেলো আজ তারা দুবাইর ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। মিসবাহ-উল হক আর জ্যাসন হোল্ডার যখন টস করতে নামলেন, তখন তৈরী হলো আরেকটি ইতিহাস। পাকিস্তানের ৪০০তম টেস্ট খেলার ইতিহাস।

ঐতিহাসিক লগ্নে আরও একটি ইতিহাস তৈরী হলো পাকিস্তানের। এই টেস্টের মধ্য দিয়েই প্রথম গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে নামলো মিসবাহ-উল হক অ্যান্ড কোং।

আগের ৩৯৯টি টেস্টের মধ্যে পাকিস্তান জিতেছে ১২৮টি টেস্ট। হেরেছে ১১২টি এবং ড্র করেছে ১৫৯টি টেস্ট। একই অবস্থানে থেকে (৪০০ টেস্ট খেলে) অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ১৭৬টি, ইংল্যান্ড ১৬০টি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪৬টি, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৪টি, ভারত ৮৭টি এবং নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ৮০টি টেস্ট।

বিদেশের মাটিতে পাকিস্তান টেস্ট জিতেছে ৫৭টি। হেরেছে ৮৪টি। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে পাকিস্তান টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারেরমত র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে আসে গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে। ইংল্যান্ডের ইংলিশদের বিপক্ষে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-২ ব্যবধানে ড্র করার ফলেই এমন অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে তারা।



মন্তব্য চালু নেই