চাকরি নয়, ভিন্ন কোনো কারণে আপনার ইন্টারভিউ নিচ্ছে তারা?

চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার চাকরিটি হবে না তাহলে কার না খারাপ লাগবে। কিন্তু এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের নির্দিষ্ট পদের বিপরীতে কোনো একটি নিয়োগ হয়ে যাওয়ার পরেও নিয়ম রক্ষার জন্য ইন্টারভিউ নিতে পারেন। এ ছাড়া অনেক সময় ইন্টারভিউ দাতার কাছ থেকে নানা ব্যবসায়িক কৌশল শেখার উদ্দেশ্যও থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের। এ ধরনের পরিস্থিতি সাধারণত উচ্চপদের কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন পাঁচটি লক্ষণ, ইন্টারভিউয়ের সময় যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে চাকরি নয়, ভিন্ন কোনো কারণে তারা আপনার ইন্টারভিউ নিচ্ছেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফোর্বস।

১. প্রশ্নকর্তারা যদি প্রশ্নের মাধ্যমে আপনার যোগ্যতা যাচাইয়ের তুলনায় আপনার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যবসায়িক কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী থাকেন তাহলে এ ধরনের পরিস্থিতির লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেখানে তারা আপনাকে

নিয়োগ না দিয়েই বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান করতে চান। আপনার বর্তমান প্রতিষ্ঠান যদি ইন্টারভিউ গ্রহণকারীদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান হয় তাহলে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

২. প্রশ্নকর্তারা বিভিন্ন বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাইছেন। এ ক্ষেত্রে আপনার কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার দক্ষতা জানা তাদের উদ্দেশ্য নয় বরং মতামত জানাই উদ্দেশ্য। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রশ্ন থাকবে আপনি বা আপনারা কিভাবে এই কাজটি সম্পন্ন করলেন কিংবা করবেন ধরনের।

৩. কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। কিন্তু আপনি যদি ইন্টারভিউ পর্যায়ে কিভাবে পরবর্তী ধাপে যাওয়া যাবে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া না গেলে বুঝতে হবে কোনো গণ্ডগোল রয়েছে। চাকরিতে তারা আপনাকে নিতে আগ্রহী না হলে এ ধাপগুলো সম্পর্কে আগ্রহী হবেন না।

৪. আপনার যোগ্যতা ও ব্যক্তিগত বিষয়ের তুলনায় ব্যবসায়িক বিষয়ে আলাপ আলোচনায় প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে আরেকটি লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ আপনার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাতেই ব্যস্ত থাকবেন। তারা চাইবেন যে অল্প সময়ের মাঝেই আলোচনার মাধ্যমে আপনার কাছ থেকে বহু তথ্য নিয়ে নেওয়া।

৫. ইন্টারভিউ সফলভাবে সম্পন্ন হলেও আপনি ইন্টারভিউয়ারদের কাছ থেকে নিয়োগের ব্যাপারে কোনো সদুত্তর পাবেন না। পরবর্তী করণীয় কি হবে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলেও তারা নীরবতা অবলম্বন করবেন। এরপর হয়ত তারা আপনাকে ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন যে, কোনো কারণে আপনাকে নিয়োগ করা হয়নি।

এ পরিস্থিতিতে করণীয় আপনার যখন এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হবে, যেখানে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ আপনাকে নিয়োগ দেবে না বলেই বোঝা যাচ্ছে তখন কিছুটা সতর্ক হতে হবে। সব প্রশ্নের উত্তরে গড়গড় করে তথ্য বলে না দিয়ে কিছুটা রহস্য নিজের ভেতরেই রাখুন। জানিয়ে দিন বিস্তারিত তথ্য বলতে গেলে ইন্টারভিউয়ের বাইরে বসতে হবে। এছাড়া প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের বিষয় হতে পারে ভিন্ন। তাই বলতে পারেন আপনার প্রতিষ্ঠানের কিছু তথ্য জানলে বিষয়টি আলোচনা করা সম্ভব হবে। আর এজন্য পরবর্তীতে আবার বসার আগ্রহ প্রকাশ করুন।



মন্তব্য চালু নেই