স্বাস্থ্যকর ৯ চুমু

মানব-মানবীর যুগল জীবনে চুমুর তুলনা নেই। শুধু সম্পর্কে উষ্ণতা ছড়ানো নয়, সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনেও যে চুমু অতুলনীয় তা হয়ত অনেকে জানেন না। গবেষকরা বলছেন, একমাত্র চুমুই মন ভালো রাখার পাশাপাশি আপনাকে অনেক রোগ-বালাই থেকে মুক্ত রাখতে পারে।

চুমুতে জীবন হবে সুন্দর, কর্মে ফিরবে উদ্যম! সম্পর্ক হবে সাবলীল! এতো এতো গুণাগুণ সমৃদ্ধ চুমুকে নিশ্চয়ই ‘না’ বলা যাবে না! আপাতত আমরা দেখে নিতে পারি চুমুর স্বাস্থ্যকর ৯টি গুণ!

এক. আমরা জানি পরিশ্রমে আমাদের ক্যালোরি ক্ষয় হয়। গবেষকরা বলছেন- দীর্ঘক্ষণের চুমুতে আধা কিলোমিটার হাঁটার মতো পরিশ্রম হয়। অর্থাৎ শরীরের ব্যাস কমাতে চুমু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

দুই. পর্যবেক্ষকদের মতে, চুমুর সময় মানব শরীরের ৫০টির মতো পেশি সক্রিয় থাকে। চুমুর সময় মুখ ও এর আশপাশের ব্যায়ামও হয়! তাই মুখের ব্যায়ামের জন্য হলেও চুমু খাওয়া উচিত।

তিন. সম্পর্ক দৃঢ় করতে চুমুর জুড়ি মেলা ভার। মৌনতা সম্মতির লক্ষণে সঙ্গীর সঙ্গে চুমোচুমিতে জড়াতে পারলে, দেখবেন সম্পর্কের রসায়নে নতুন নতুন যৌগ যোগ হচ্ছে। সম্পর্ক গভীর থেকে গভীর হচ্ছে।

চার. চুমুর সময় আমাদের শরীরে একাধিক হরমোন নিঃসরণ হয়, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। গবেষকরা বলছেন- চুমুর সময় ডোপেমিন, অক্সিটোসিন, সিরোটোনিন নামের হরমোনের ক্ষরণে মুড ভালো হয়।

পাঁচ. গবেষকরা বলছেন, অ্যালার্জি, সাইটোমেগালো ভাইরাস থেকে রক্ষা করে চুমু। বিশেষত কোনো নারী যদি সাইটোমেগালো ভাইরাসে আক্রান্ত হন- তবে তার শিশু চোখ নষ্ট অবস্থায় জন্মাতে পারে। তাই নির্দিধায় বলা যায়- চুমু রোগ প্রতিরোধ করে।

ছয়. চুমু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এ জন্য হৃদযন্ত্র ভালো থাকে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও অনেকাংশে কমে।

সাত. চুমু শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। শারীরিক ছোটোখাটো সমস্যা থাকলে চুমু খাওয়ার সময় শরীরের বাড়তি সঞ্চালনে তা সেরে যায়। যেমন- মাথাধরা, মাথায় যন্ত্রণা, শরীরে ম্যাজম্যাজে ভাব ইত্যাদি।

আট. দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় চুমু ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। চুমু খাওয়ার সময় সাধারণত লালা ক্ষরণ বেশি হয়। এর ফলে মুখের অভ্যন্তর পরিষ্কার হয়ে যায়। যাতে দাঁত, মাড়ি থেকে নোংরা দূর হয়, ক্যাভিটির আক্রমণ রুখতে চুমু দারুণ ভূমিকা রাখে।

নয়. প্রতিদিনের একেকটি গভীর চুমু শরীরের ওজন কমাতে বড় ধরনের সাহায্য করে। গবেষকরা বলছেন- একবারের গভীর একটি চুমু ঘটনাভেদে প্রায় ১৮ ক্যালরি খরচ করে ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। মন ও দেহকে সুন্দর-সুস্থ রাখতে চুমু হতে পারে উপাদেয় অনুষঙ্গ।



মন্তব্য চালু নেই