খাদিজা ফিরুক মায়ের কোলে : বদরুলের মা
ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজা আক্তার নার্গিসের জন্য দোয়া করেছেন হামলাকারী বদরুলের মা দিলারা বেগম। খাদিজা মায়ের কোলে সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক এমন চাওয়া দিলারার।
শুক্রবার দুপুরে সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা মুনিরজ্ঞাতি (কুম্বায়ন) গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী দিলারা বেগম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেটা প্রচণ্ড মেধাবী। কেন সে খাদিজার ওপর হামলা করেছে তার কারণ প্রশাসনকে খুঁজে বের করতে হবে।’
দিলারা বেগম দাবি করেন, ২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি খাদিজার পরিবারের লোকজন বদরুলকে হামলা চালিয়ে আহত করে।
‘আমি ৩ মাস হাসপাতালে ছিলাম। হাসপাতালে ছেলের পাশে বসে কাঁদতে কাঁদতে আমার চোখ দুটো গেছে। আমি আজ প্রায় অন্ধ হয়ে পড়েছি।’
খাদিজার সঙ্গে বদরুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি করেছেন বদরুলের মা।
তিনি বলেন, ‘খাদিজার উপর হামলার ঘটনা বদরুল কেন ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। আমি দোয়া করছি খাদিজা তার মায়ের কোলে ফিরুক। আমার ছেলেও আমার কোলে ফিরে আসুক।’
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা মুনিরজ্ঞাতি (কুম্বায়ন) গ্রামের সাইদুর রহমানের ৪ ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে নুরুল হোসেন পেশায় দর্জি ব্যবসায়ী, দ্বিতীয় বদরুল আলম, মেয়ে রুবেনা বেগম ডিগ্রীতে অধ্যয়নরত, খালেদ হোসেন বর্তমানে কৃষিকাজ করে, আরেক ছেলে সাহেদ হোসেন মুনিরজ্ঞাতি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
সরেজমিনে মুনিরজ্ঞাতি (কুম্বায়ন) গ্রামে গিয়ে জানা যায়, বদরুলের ঘৃণিত কর্মকাণ্ডে পুরো এলাকায় ঘৃণা ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিও এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় বিব্রত। বদরুল এলাকার কলঙ্ক বলে মত দিয়েছেন তারা।
তারা বলেন, এলাকার জন্য সুনাম বয়ে আনতে ব্যর্থ বদরুল সারাদেশে মুনিরজ্ঞাতি গ্রামের নামকে কলঙ্কিত করেছে।
স্থানীয় প্রবীণ সালিশী ব্যক্তিত্ব ও সাবেক মেম্বার মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, ‘এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। দোয়া করি মেয়েটা যেন সুস্থ হয়ে উঠে। এ ঘটনা থেকে প্রমাণ হয় বদরুল চারিত্রিকভাবে নষ্ট ছিল। এর আগেও মেয়ে সংক্রান্ত ঘটনায় সে গণধোলাই খায় বলে আমরা জানতে পারি।’
মুনিরজ্ঞাতি (কুম্বায়ন) গ্রামের ডিগ্রী পরীক্ষার্থী আলমগীর জানান, এ ধরনের হামলাকারীদের বিচার না হলে আরো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার সময়ের দাবি।
খুরমা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল মিয়া জানান, সারাদেশব্যাপী মুনিরজ্ঞাতির বদনাম রটেছে। বদরুলের এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানাই। পাশপাশি সুষ্ঠু বিচার হওয়া একান্ত জরুরি।
মন্তব্য চালু নেই