সাভারে যুবদল নেতা নিহত, স্বজনদের দাবি টাকা দিতে না পারায় এই হত্যা
টিপু সুলতান (রবিন), সাভার: সাভারের পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতের স্বজনদের দাবি নয়ন বিএনপি করে এবং পুলিশের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় বন্দুক যুদ্ধের নাম করে পুলিশ তাকে পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলেছে।
নিহতের নাম শাহা-আলম নয়ন (৪২)। সে সাভার পৌর এলাকার মালঞ্চ মহল্লার শহিদুল ইসলামের ছেলে। এবং তিনি সাভার পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। শুক্রবার দিনগত ভোর রাতে সাভারের বিরুলিয়া এলাকার কৃষিবিদ নার্সারীর পাশে এই ঘটনা ঘটে। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান জানান, সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তন্ময় ও আহসান অভিযান চালিয়ে নয়নকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে থেকে গ্রেফতার করে সাভার মডেল থানায় নিয়ে আসে।
পরে নয়নের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার দিনগত রাতে সাভারের বিরুলিয়া কৃষিবিদ নার্সারী এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এসময় আগে থেকে উৎ পেতে থাকা নয়নের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে এবং নয়ন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে নয়ন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, নিহতের বিরুদ্ধে অন্তত ১০টা মামলা রয়েছে। এছাড়া তিনি একটি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিলেন। নিহতের মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে বলেও জানান পুুুলিশের এই কর্মকর্তা। এদিকে, নিহত নয়নের শ্যালক সম্রাট আহম্মেদ পারভেজ দাবি করেন, গত বৃহস্পতিবার তার বোন জামাই সাভার থেকে মোহাম্মদপুরে তাদের বাসায় বেড়াতে আসেন।
পরবর্তীতে ওই দিন দিনগত ভোর রাতে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তন্ময় ও আহসান তাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে নয়নকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় এসআই তন্ময় মদ্যপ অবস্থায় থেকে বাসায় থাকা নগদ ৬ লাখ টাকা ৬ ভরি স্বার্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় বলেও দাবি সম্রাটের।
এছাড়া তিনি আরও দাবি করেন, পরে শুক্রবার সকালে ওই এসআই তার বাবাকে ফোন করে আরও আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা পেলে তিনি তার মেয়ের জামাইকে ছেড়ে দিবেন। এসআই তন্ময়ের কথা অনুযায়ী আড়াই লাখ টাকা দেওয়া হলেও পুলিশ তাকে না ছেড়ে আরও দশ লাখ টাকা দাবি করেন।
অন্যথায় ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে শুক্রবার সন্ধায় স¤্রাট ও নয়নের পরিবারের লোকজন সাভার থানায় গেলে পুলিশ এই নামে কাউকে আটক বা গ্রেফতার করেনি বলে তাদের জানায়। তবে রাত ৯টার দিকে একটি মাক্রোবাসে করে নয়নকে কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেধে সাভার মডেল থানা থেকে বাহিরে নিয়ে যেতে দেখা যায় বলেও জানান সট।
পরবর্তীতে শনিবার ভোরে বন্দুকযুদ্ধে নয়ন মারা গেছে বলে তারা জানতে পারে বলে জানায়। এছাড়া তাদের দাবি নয়ন বিএনপি করে এবং পুলিশের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় বন্দুক যুদ্ধের নাম করে পুলিশ তাকে পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলেছে।
মন্তব্য চালু নেই