ছাত্রলীগের বিরোধ, ভাঙচুর অবরোধ

সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ ২ জন আটকের প্রতিবাদে চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ফরিদগঞ্জে চরকুমিরা এলাকায় গাছ কেটে অবরোধ করেছে তাদের সমর্থকরা।

বৃহস্পতিবার সকালে তিনঘণ্টা ও সড়ক অবরোধে করা হয়। এসময় সড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল ১০টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

এর আগে একই দাবিতে বুধবার রাতে অবরোধ শুরু করে বিক্ষুব্ধরা।

এদিকে, বেলা ১১টায় পুলিশের হাতে আটক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রিপন ও স্বপন নামে আরেকজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বিবাদমান ছাত্রলীগের একাংশের নেতা জেলা ছাত্রলীগের সদস্য পাবেলকে মারধর করে অপর অংশের নেতা ঘোষিত উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব। এর জের ধরে উভয় পক্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় পাবেলের সমর্থকরা উপজেলা পরিষদে ঢুকে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকারের অফিস কক্ষের দরজা ভাঙচুর করে।

পুলিশ যুবলীগকর্মী স্বপনকে আটক করে। এর কিছুক্ষণ পর তার পক্ষ নিয়ে ছাত্রলীগের একটি অংশ ওয়াপদা মাঠের বিজয় মেলায় হামলার চেষ্টা করে। এসময় তারা সেখানে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবকে বেধড়ক মারপিট করে মিছিল নিয়ে বাজারে চলে যায়।

পুলিশ মিছিল থেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রিপনকে আটক করে।

রাতে এ ঘটনার প্রতিবাদে চরকুমিরা ও টিএন্ডটি এলাকায় গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ তা সরিয়ে দিলে বৃহস্পতিবার সকালে রিপনের সমর্থকরা চরকুমিরা এলাকায় গাছ ফেলে ফের অবরোধ সৃষ্টি করে। এসময় তারা কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলায় ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটককৃত রিপন ও স্বপনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ফের সংঘর্ষ এড়াতে ফরিদগঞ্জে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে ফরিদগঞ্জে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বুধবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনার পর তা চরমে পৌঁছে।



মন্তব্য চালু নেই