বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি
মাশরাফির অধিনায়কত্ব আর ক্রিকেটবিশ্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান—দুটো যেন একই সুতোয় গাঁথা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয়বারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়েছিলেন মাশরাফি। আর তখন থেকেই বাংলাদেশ পেয়েছে একের পর এক বিস্ময়কর সব সাফল্য। মাশরাফিকে বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক বলে মেনে নেওয়ার মতো মানুষও অনেক আছেন। এবার পরিসংখ্যানের হিসাবেও সেই স্বীকৃতি পেয়ে গেলেন ‘ম্যাশ’। হাবিবুল বাশারকে পেছনে ফেলে মাশরাফিই এখন বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক।
২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পেলেও অধিনায়ক হিসেবে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। ইনজুরির কারণে অনেক সময়ই তাঁকে থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অধিনায়ক হিসেবে দেখা গেছে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমকে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের আগে আবার নেতৃত্বের ভার দেওয়া হয় মাশরাফির কাঁধে। তার পর থেকে ঘরের মাটিতে বাংলাদেশ জিতেছে টানা পাঁচটি ওয়ানডে সিরিজ। খেলেছে এশিয়া কাপের ফাইনালে, ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও প্রথমবারের মতো গেছে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত।
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি এখন পর্যন্ত জয় পেয়েছেন ৩১টি ম্যাচে। সব ধরনের ফরম্যাট মিলিয়ে হাবিবুল বাশার জিতেছিলেন ৩০টি ম্যাচ। কিন্তু সে জন্য তাঁকে নেতৃত্ব দিতে হয়েছিল ৮৭টি ম্যাচে। আর মাশরাফি ৩১তম জয়টি পেয়েছেন ৫৩তম ম্যাচে। সফলতার হার ৫৮.৪৯ শতাংশ।
টেস্টে বাংলাদেশকে একটি ম্যাচেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাশরাফি। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে মাশরাফির অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ খেলেছে ২৯টি ম্যাচ। এর মধ্যে জয় ২১টিতে। আর টি-টোয়েন্টিতে ২৩টি ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করে মাশরাফি জিতেছেন ৯টি ম্যাচে।
মাশরাফি ও হাবিবুল বাশারের পর বাংলাদেশের সফল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। সব মিলিয়ে ৬২টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সাকিব জিতেছেন ২৪টি ম্যাচ। আর মুশফিক অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন ৮৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। জয় পেয়েছেন ২৩টিতে।
মন্তব্য চালু নেই