ভিটামিন বিষয়ে ৪ ভুল ধারণা বাদ দিন
অনেকেই নানা কারণে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট সেবন করেন। তবে এ বিষয়টি সেবনের আগে জেনে রাখা উচিত কয়েকটি তথ্য। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কয়েকটি তথ্য। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
১. ধারণা : ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট আপনার রোগ নিরাময় করবে। বাস্তবতা : এটি একটি ভুল ধারণা। পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নয় ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট। এ কারণে আপনার রোগ নিরাময় করতে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট কার্যকর নয়। এটি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো রোগের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়বে না। তবে আপনার যদি কোনো পুষ্টিগত ঘাটতি থাকে তাহলে সে ঘাটতি পূরণ করতে পারে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট।
২. ধারণা : এটি আপনার খাবারের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। বাস্তবতা : ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট অনেকেই খাবারের বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করেন। যেমন আপনি দুধ পছন্দ না করলে ক্যালসিয়াম পিল গ্রহণ করেন কিংবা মাছ পছন্দ না করলে ওমেগা ৩ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন। তবে এ প্রবণতা মোটেই ভালো নয়। কারণ সাপ্লিমেন্ট খাবারের বিকল্প হতে পারে না। যেমন দুধে শুধু ক্যালসিয়ামই নেই, আরও বহু উপাদান রয়েছে। একইভাবে মাছে শুধু ওমেগা ৩ নয়, আরও বহু পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। আর এসব উপাদান পাওয়ার জন্য অবশ্যই সত্যিকার মাছ খেতে হবে বা দুধ পান করতে হবে। এছাড়া আরেকটি বিষয় হলো, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ সাপ্লিমেন্টগুলো গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ বিভিন্ন সাপ্লিমেন্টের নির্ধারিত মাত্রা রয়েছে। আপনি যদি এ নির্ধারিত মাত্রা অতিক্রম করেন তাহলে দেহে নানা বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে।
৩. ধারণা : ‘অল ন্যাচারাল’ সাপ্লিমেন্ট সেরা। বাস্তবতা : কোনো সাপ্লিমেন্টে যদি ‘অল ন্যাচারাল’ লেখাও থাকে তাহলেও তা যে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, এমনটা নয়। সাপ্লিমেন্ট মাত্রই ওষুধ এবং তা খাবারের বিকল্প নয়। ‘অল ন্যাচারাল’ লেবেলে অনেক উৎপাদনকারী বাড়তি মূল্য রাখেন ঠিকই। তবে বাস্তবে এগুলো খাবারের মতো উপকারি নয়।
৪. ধারণা : সব প্রোটিন পাউডার একই। বাস্তবতা : সব প্রোটিন পাউডারই আলাদা। আপনি সয়া প্রোটিন, ক্যাসেইন কিংবা যে প্রোটিনই গ্রহণ করুন না কেন, প্রত্যেকটিরই আলাদা কাজ রয়েছে। তারে সবার ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার কার্বহাইড্রেট, ফ্যাট, কোলস্টেরল ও অন্যান্য উপাদান রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই