ছাত্র-ছাত্রী নেই, এই ভূতুড়ে বাড়িতে আসা-যাওয়া করেই বেতন পাচ্ছে শিক্ষকরা!
স্কুলের চেহারা অনেকটা ভূতুড়ে বাড়ির মতো। ছাত্র নেই। ফলে হাজিরা দিয়েই বেতন পাচ্ছেন বরাহনগরের ভিক্টোরিয়া স্কুলের শিক্ষকেরা।
কুঠিঘাটে ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বরাহনগর ভিক্টোরিয়া স্কুল। গঙ্গার পাড়ে অবস্থিত স্কুলবাড়িটির ভগ্নপ্রায় অবস্থা। তিনটি গেটের মধ্যে একটি মাত্র খোলা। কার্যত জনমানবশূন্য স্কুলবাড়ি জুড়ে অন্ধকার। উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ওই স্কুলে রয়েছেন তিনজন শিক্ষক। তাঁরা স্কুলে আসেন। বসে থাকেন দোতলার একটি ঘরে। কারণ, ২০০৮ সাল থেকে কোনও ছাত্রই নেই। যে ঘরে বসেন সেখানকার বিদ্যুতের বিল নিজেদেরই মেটাতে হয় শিক্ষকদের। কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দরবার করেছেন তাঁরা। কিন্তু স্কুলের এমন চেহারা সম্পর্কে মুখ খুলতে নারাজ শিক্ষক মলয় বসু, শুক্লা সাহারা।
মলয় বললেন, ‘‘এ বিষয়ে আমরা কিছুই বলব না। কিছু জানার থাকলে ঊধর্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’’ তবে শিক্ষকদের বেতনে কোনও সমস্যা নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা স্কুল পরিদর্শক রিক্তা দে জানান, ‘‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবহিত। ওই স্কুলের তিন শিক্ষক যাতে অন্য স্কুলে বদলি হন, তার ফাইল ইতিমধ্যেই বিকাশ ভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
স্কুলের তিনতলার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ঘুটঘুটে অন্ধকার থেকে ভেসে আসছিল বিভিন্ন আওয়াজ। পড়াতে হয় না। শিক্ষকদের শুধু হাজিরা দিতে হয় এমন ভূতুড়ে বাড়িতে।-এবেলা
মন্তব্য চালু নেই