প্রাকৃতিক এই উপাদানগুলোই হতে পারে ক্ষতিকর!

প্রাকৃতিক জিনিস বলতেই আমরা বুঝি এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। আমরা একেবারে কোনপ্রকার কৃত্রিমতা ছাড়া চাষকৃত খাবার খেতে পছন্দ করি। মনে করি, যত কারখানার যান্ত্রিক ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বস্তুটি ততই তা স্বাস্থ্যকর। কিন্তু সবসময় এটি সত্য নয়। জেনে নিন প্রাকৃতিক কোন জিনিসগুলো এড়িয়ে চলা ভাল-

পানি
পানি পানও হতে পারে ক্ষতিকর? জ্বী। ওয়াটার ইন্টক্সিকেশন হতে পারে আপনার যদি আপনি একসাথে দ্রুত অনেক পানি পান করে ফেলেন। এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহণকারীরা প্রায়ই এই সমস্যায় পড়েন।

লবণ
লবণ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক একটি উপাদান। কিন্তু অতিরিক্ত লবণ খাওয়া ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। আবার নিয়মিত বেশী লবণ খাওয়া ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে দিতে পারে বিপদজনকভাবে। ডাক্তাররা খাবারের সাথে আলাদা বাড়তি লবণ গ্রহণে সবসময়ই অনুৎসাহিত করেন।

ব্ল্যাক চাহোস
ব্ল্যাক চাহোস এক ধরনের গাছ। মেনোপজের সময় নারীদের সাহায্যার্থে সম্পূরক হিসেবে গাছটিকে কাজে লাগানো হয়। কিন্তু গাছটি সবার জন্য উপকারী নয়। গর্ভবতী নারীরা এই পাতা সেবন করলে গর্ভাপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমনকি লিভারও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ফর্মাল্ডিহাইড
এটি একটি প্রাকৃতিক যৌগ। এই যৌগটি ব্যবহার করা হয় নেইলপলিশে পিজারভেটিভ হিসেবে। তবে যৌগটি প্রাকৃতিক হলেও এবং নেইলপলিশ দীর্ঘদিন ভাল রাখতে কার্যকরি হলেও মানুষের জন্য ক্ষতিকর। একে বলা হয় কার্সিনোজেন অর্থাৎ ক্যান্সারের জন্য অন্যতম দায়ী পদার্থ।

মাশরুম
মাশরুম তো প্রাকৃতিক খাবার, কোন সন্দেহ নেই। এর মধ্যে অনেকগুলো আবার খুবই সুস্বাদু। কিন্তু আপনি জানেন কি মাশরুমের কিছু প্রজাতি আছে যা হ্যালুসিনেশন তৈরি করতে পারে। আর কিছু প্রজাতি তো আপনাকে মেরেই ফেলতে পারে। কখনো বণ্য মাশরুম খাবেন না। একমাত্র বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরিক্ষিত মাশরুমই খান।

হেমলক
সুন্দর ছোট ছোট সাদা ফুলেল একটি গাছ হেমলক। গাছটি দেখতে যতটা নিরীহ ততটাই বিষাক্ত। প্রতিটি অংশই মারাত্মক এবং মনে করা হয় এই গাছের বিষ পান করিয়েই হত্যা করা হয়েছিল সক্রেটিসকে।

ক্যাস্টর বিন
ক্যাস্টর অয়েল উৎপাদন হয় ক্যাস্টর বিন থেকে। ক্যাস্টর অয়েল সাধারণত ব্যবহার করা হয় প্রসাধনী দ্রব্যে। তেলটি যথার্থই নিরাপদ। কিন্তু ক্যাস্টর বিন, যা কিনা অনলাইনে পাওয়া যায় এবং আপনি কিনে নিজেই এর চাষাবাদ করতে পারবেন, এটি বহন করে রাইসিন যা হল প্রাকৃতিক বিষ। একটি বিন একটি শিশুর মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই