এই পাহাড়ের তিনিই রাজা! ২৫ বছর পর কেউ পা দিল এখানে
কথিত আছে, এক পৌত্তলিক সর্দারকে খ্রিস্টান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন সেন্ট পেত্রিক। কিন্তু ধর্মান্তরিত হতে রাজি হননি সর্দার। তাঁর কথা অমান্য করায় পেত্রিক প্রচণ্ড রেগে ক্রোজিয়ার দিয়ে দু’টুকরো করে দেন ডাউনপেত্রিক পাহাড়কে। সর্দার যেখানে দাঁড়িয়েছিলেন ক্রোজিয়ারের আঘাতে সেই জায়গা আলাদা হয়ে যায় মেনল্যান্ড থেকে।
আয়ারল্যান্ডের মায়ো কাউন্ট্রির ব্যালিক্যাস্টেল গ্রামের এই বিচ্ছিন্ন পাহাড়টি দান ব্রিস্তে নামে পরিচিত। অনেকে আবার ভাঙা দুর্গ বলেও ডাকেন। তবে, ইতিহাস বলছে অন্য কথা। ১৩৯৩ সালে ভয়ঙ্কর জলচ্ছ্বাসে মেনল্যান্ড থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল দান ব্রিস্তে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দড়ির সাহায্যে উদ্ধার করা হয়েছিল।
দান ব্রিস্তের এই জায়গায় শেষ ২৫ বছর কোনও মানুষের পা পড়েনি। তবে আগস্টে ৪৬ বছর বয়সী ইয়ান মিলার এই পাহাড়ে চূড়ায় উঠে সেই নজির গড়েন। কেন আয়ারল্যান্ডের দান ব্রিস্তে অন্যান্য পাহাড় থেকে আলাদা জেনে নিন।
* প্রতি বছর ট্র্যাকিং-এর আয়োজন করা হয়, কিন্তু পাহাড় এতটাই খাড়া যে সবাই সফল হতে পারে না। তবে ইয়ান মিলার সফল হয়েছেন। ১৬০ ফুট উচ্চতার দান ব্রিস্তের শিখরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
* ভূতত্ত্ববিদদের মতে, ৩৫ কোটি বছর আগে তৈরি হয়েছিল আয়ারল্যান্ডের ডাউনপেত্রিক ল্যান্ড।
* বিভিন্ন রঙের স্তর দিয়ে তৈরি হয়েছে দান ব্রিস্তের পাহাড়।
* বিস্তৃর্ণ অতলান্তিক মহাসাগরে দৃশ্য দেখতে ডাউনপেত্রিক ল্যান্ড হল আদর্শ জায়গা।
* পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের একটি কারণ হল নানা প্রজাতির পাখি এসে ভিড় করে এই পাহাড়ে।
* ইয়ান মিলারে আগে ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের তিন পর্বতারোহী মিক ফাওলার, নিকি দুগান ও স্টিভ সুসতাদ দান ব্রিস্তেতে সফল ভাবে উঠেছিলেন।
* ১৯৮০ সালে গবেষণা করতে হেলিকপ্টার নিয়ে নেমেছিলেন একদল বিজ্ঞানী।-আনন্দবাজার
মন্তব্য চালু নেই